নিজস্ব সংবাদদাতা: গত কয়েক দিনের মতই মেদিনীপুর শহরের উত্তর প্রান্তে দাপট দেখাচ্ছে করোনাসুর, রবিবারও তার ব্যতিক্রম হলনা। উত্তর বলতে হবিবপুর এলাকা থেকে শুরু করে আরও উত্তরে কেরানীচটি পর্যন্ত ধরা হচ্ছে। গত কয়েকদিন হবিবপুর, তোলা পাড়া, সিপাহী বাজার কুইকোটা, আবাস থেকে কেরানীচটি অবধি করোনার দাপট দেখতে পেয়েছি। ১৮তারিখের আরটি/পিসিআর রিপোর্টেও তার খুব বেশি হেরফের হয়নি।
এদিন শহরে ১৮জনের পজিটিভ এসেছে ওই রিপোর্ট অনুযায়ী। এর মধ্যে ৯জনই উল্লেখিত এলাকার। এরমধ্যে ৩ জন রয়েছেন হবিবপুর এলাকার। ৩ জন আবাস এলাকার, তোলাপাড়ার ২জন এবং কুইকোটার ১জন।
হবিবপুরে ৩জন বিচ্ছিন্ন ভাবে তিনটি পৃথক পরিবারে আক্রান্ত হয়েছেন যার মধ্যে ৫০ বছরের পুরুষ, ৬২ বছরের বৃদ্ধা ও ২০ বছরের এক যুবক রয়েছেন। আবাস এলাকায় আক্রান্তদের মধ্যে ৬০ ও ৫১ বছরের দম্পত্তি ছাড়াও ৭৩ বছরের এক বৃদ্ধ আক্রান্ত। তোলাপাড়ায় আক্রান্ত ৪৭ বছরের মা এবং ২৪বছরের ছেলে।
কুইকোটায় আক্রান্ত ৩২ বছরের গৃহবধূ। শহরে আক্রান্ত হয়েছেন এমন তিনজনের নির্দিষ্ট ঠিকানা উল্লেখ করা নেই। এরা হলেন ৬৪ বছরের বৃদ্ধা, ২০বছরের যুবতী ও ৪১বছরের এক ব্যক্তি।
শহরের বাদ বাকি যে অংশে নতুন করে সংক্রমন ছড়িয়েছে তার মধ্যে রয়েছে তাঁতিগেড়িয়া যেখানে ২২বছরের যুবতী আক্রান্ত, পালবাড়ীতে আক্রান্ত ৩২ বছরের যুবক, কর্নেল গোলা যেখানে ৫৩ বছরের ব্যক্তি আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়াও রয়েছে মহাতাপপুরে আক্রান্ত ৪২ বছরের এক ব্যক্তি। শহর থেকে দুরে মেদিনীপুর সদর ব্লকের গুড়গুড়িপালেও এদিন ৪৮ বছরের এক গৃহবধূ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
১৮ই অক্টোবরের আরটি/পিসিআর মোতাবেক আক্রান্ত হয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারন) বা ADM(G) প্রনব বিশ্বাস। জানা গেছে কিছুদিন আগেই তাঁর সন্দেহ হওয়ায় তিনি করোনা পরীক্ষা করালেও তাঁর নেগেটিভ এসেছিল। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে অস্বস্তি বোধ করছিলেন, অসুস্থার লক্ষন দেখা দিয়েছিল। শনিবার ফের নমুনা দেন তিনি। এরপরই দেখা যায় তিনি পজিটিভ হয়েছেন।