নিজস্ব সংবাদদাতা: দিন আনি দিন খাই নয়, পেলে খাই না পেলে না খাই পরিবারের সদস্য একরাট। কারন সব দিন কাজ জোটেনা বাবার। ৫জনের সংসারে সঞ্চয় হয়না খাদ্য তাই যেদিন কাজ জোটেনা সেদিন জল খেয়েই পেট ভরানো যদিও পড়ায় তাতে বাধ মানেনা একরাটের বরং পড়েই নাকি খিদে ভুলে থাকা যায়। তাই যেদিন বাবার কাজ জোটেনা সেদিন আরও বেশি করে পড়ে সে। আর এভাবেই সে কবে মেধাবী হয়ে গেছে।
মেদিনীপুর সদর ব্লকের হাতিহলকা গ্রামের বাসিন্দা খলতপুর হাইমাদ্রাসার ছাত্র একরাট সাহা এবার উচ্চ-মাধ্যমিকে ৯০ শতাংশের বেশি নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র একরাটের মোট প্রাপ্ত নম্বর ৪৫৩। একরাটের বাবা গিয়াসুদ্দিন সাহা একজন দিনমজুর,মা সবনাউনিস বিবি গৃহবধু। যখন যা কাজ পান সেই কাজ করে সংসার ও ছেলের পড়াশোনার কাজ চালান গিয়াসউদ্দিন সাহা।
মাটির দেওয়ালের উপর খড়ের ছাউনি,তার নিচেই মাথা গোঁজার এক চিলতে আশ্রয়ে পরিবার নিয়ে থাকেন গিয়াসউদ্দিন বাবুরা।একরাটরা তিন ভাই বোন।এই আর্থিক প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও নজরকাড়া রেজাল্ট করেছে একরাট। একরাট ডাক্তার হতে চায়। এখন একরাটসহ গোটা পরিবারের চিন্তা এখান উচ্চ-শিক্ষার খরচ নিয়ে।তাই ছেলের রেজাল্ট ভালো হলেও চিন্তায় রয়েছে একরাটের পরিবার।
উল্লেখ্য দুবছর আগে মাধ্যমিকে মাদ্রাসা বোর্ড থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে মাদ্রাসা বোর্ডে গোটা রাজ্যে ১৫ তম স্থান দখল করেছিল একরাট। একরাটের শিক্ষকদের বক্তব্য একটু সাহায্য পেলেই স্বপ্ন পুরন করেই দেখাবে সে। সেই সাহায্যের আশাতেই এখন একরাট।