নিজস্ব সংবদাদাতা: ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়ে গেল শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ ‘দাদার অনুগামী’দের বিরুদ্ধে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ পদ থেকে সরিয়ে দিতে বলা হল অমূল্য মাইতিকে। খোদ মূখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী নাকি তাঁকে
জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ পদ থেকে অপসারিত করার কথা বলে গেছেন বলে জানা গেছে।
গত শুক্রবার তাঁর সরকারি নিরাপত্তা প্রত্যাহার করার ৭২ ঘন্টার মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই নির্দেশ বলে দিচ্ছে শুভেন্দু অনুগামীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করে দিলেন দলের সুপ্রিমো। যদিও বিষয়টি নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি দলের কেউ বা অমূল্য মাইতি নিজেও। তবে দলের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে এই খবর।
সোমবার মেদিনীপুরে সভা করেছেন মূখ্যমন্ত্রী। বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে কার্যত এটাই ছিল মূখ্যমন্ত্রীর প্রথম সভা। সেই সভা করার পর রাতে থেকে যান তিনি। সার্কিট হাউসে রাত্রি বাসের পর মঙ্গলবার রানীগঞ্জের উদ্দেশ্যে উড়ে যাওয়ার আগে জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিং হাজরা ও সহ সভাধিপতি তথা দলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতিকে এমনই নির্দেশ দিয়ে গেছেন বলে সূত্রের খবর।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন জেলা তৃণমূল সভাপতি অজিত মাইতি। তবে বিষয়টি নিয়ে তিনি কিছু বলবেননা বলেই জানান তিনি। উল্লেখ্য মূখ্যমন্ত্রীর এই সভায় আরও কিছু নেতা হাজির ছিলেননা। তাঁদের সম্পর্কে খোঁজ খবর নেন মূখ্যমন্ত্রী। আপাততঃ অমূল্য মাইতিকে সরাতে বলা হয়েছে এরপর একে একে অনেকের বিরুদ্ধেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তৃনমূল সূত্রে জানা গেছে।
উল্লেখ্য অমূল্য মাইতি ১৯৯৮ সাল থেকেই তৃনমূল করে আসছেন। জেলা পরিষদের প্রথম বোর্ডে বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ ছিলেন কিন্তু দ্বিতীয় বোর্ড থেকে প্রায় তাঁকে সরিয়েই দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। যদিও শুভেন্দু অধিকারীর হস্তক্ষেপে অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া হয় তাঁকে। তিনি প্রকাশ্যে বারবার শুভেন্দু অনুরক্ততা প্রকাশ করেছেন। ২০১৬ সালের পর মানস ভূঁইয়া তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ক্রমশ মাইতি দলে কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন
।