নিউজ ডেস্ক : কোচবিহার জেলার মাথাভাঙায় ৪ জন গ্রামবাসীর মৃত্যুর ঘটনায় সিআইডি তদন্তের পাশাপাশি মৃতদের পরিবারকে সব রকম সহযোগিতার আশ্বাস দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার বিকেলে শিলিগুড়িতে নেমে সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি জানান, “কোচবিহারে নতুন এসপি নির্বাচন কমিশন মনোনীত। পরিকল্পনামাফিক এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। মানুষের প্রাণ নিয়ে খেলা হচ্ছে। এর আগেও কোচবিহারের মানুষের উপর অত্যাচার হয়েছে। সিআইডি তদন্ত করে দেখবো কে কীভাবে করেছে।“
এদিন এই ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককেও এক হাতে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, দিল্লীর নির্দেশে এগুলি করা হচ্ছে। রাজনৈতিক নির্দেশে বাড়াবাড়ি করছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচনে না জিততে পেরে গুলি মারো, খুন করো এসব করছে বিজেপি। নন্দীগ্রামে যাওয়ার পর আমার চোখ খুলেছে। প্ল্যানিং করে এগুলি করে ক্লিনচিট দেওয়া হচ্ছে। অন্যায় করে লোক মেরে বলছে বেশ করেছি।
অন্যদিকে এদিন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী পুলিশের স্পেশাল পুলিশ অবজারভার বিবেক দুবেকে নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে। নেত্রী বলেন, তিনি অনেকদিন আগে অবসর নিয়েছেন। কিন্তু তিনি নির্বাচন কমিশনের হয়ে কাজ করছেন। ঘটনার পর বিবেক দুবে ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ইস্তফার দাবী করেন মুখ্যমন্ত্রী। কোচবিহার এসপিকে নিয়েও ক্ষোভপ্রকাশ করেন।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রবিবারই তিনি মাথাভাঙায় যাবেন, সেখানে মৃতদের শ্রদ্ধা জানিয়ে পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী মিথ্যেবাদী। তার উচিৎ ছিল শিলিগুড়ির জনসভা না করে সেখানে যাওয়া। মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করা। তবে এঘটনার পর সাধারণ মানুষকে ব্যালটে জবাব দেওয়ার কথাও বলেন তিনি।
শনিবার শীতলকুচি বিধানসভা কেন্দ্রের অধীন মাথাভাঙ্গা-১ ব্লকের জোরপাটকি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৫/১২৬ নম্বর মাদ্রাসা বুথে গুলি চলে। ঘটনায় চার জনের মৃত্যু হয়৷ মৃতরা প্রত্যেকেই দলীয় কর্মী বলে দাবী তৃণমূলের। মৃতরা হামিদুল মিয়া, সামিউল হক, মনিরুল হক এবং আমজাদ হোসেন। ঘটনার পরেই ওই বুথে ভোট গ্রহণ পর্ব স্থগিত রাখা হয়।