নিজস্ব সংবাদদাতা: এক অমানবিক নৃশংস পাশবিক ঘটনায় ফের কলঙ্কিত হল বাংলা। বোনের সামনেই ৪ জন মিলে ধর্ষণ করল দিদিকে। আর সেই ঘটনার খবর পেয়ে শোকে মৃত্যু হল মায়ের। মালদা জেলার এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ঘটনায় এখনও অবধি একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে জোরদার তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। ঘটনায় হেনস্থা ও শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছে নির্যাতিতা তরুণীর বোনও উত্তেজনায় ফুটছে ওই গ্রাম। একটি বিয়েবাড়ি থেকে ফেরার পথে মালদার ওই আদিবাসী তরুণীর সঙ্গে এমনই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে।
সূত্র মারফৎ জানা গেছে ঘটনাটি ঘটেছে হবিবপুরের মঙ্গলপুরা গ্রামের বাসিন্দা। জানা গিয়েছে মঙ্গলবার রাতে ওই গ্রামেরই অপর প্রান্তে একটি বিয়ের প্রীতিভোজে কন্যাযাত্রী হিসাবে গিয়েছিল ১৯ ও ১৬ বছরের ওই দুই বোন, সঙ্গে গ্রামের আরও অনেকেই ছিলেন। ভোজ খেয়ে রাতে ফেরার পথে আলাদা আলাদা ভাবে নিজের বাড়ি ফিরে যান কন্যাযাত্রীরা। আদিবাসী ওই দুই বোনের পর ফিরতে ফিরতে রাত ১১টা বেজে যায়।
এরপর তারা বাড়ি ফিরলে, আত্মীয়রা তাদের দেরি হওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করে। অভিযুক্তরা ওই দুই বোনের বাড়ির কাছাকাছিই থাকে, বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাই তাদের মুখচেনা ছিলই, তবে নাম জানা ছিল না। তাদের কাছ থেকে সবটা জানতেই তাদের বাড়ির লোকজন পাড়া প্রতিবেশীদের নিয়ে ওই দুষ্কৃতীদের খোঁজে বের হয়। তারাই এক অভিযুক্তকে ধরে ফেলে। তবে বাকিরা পালিয়ে যায়। এরপর পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে ওই অভিযুক্তকে আটক করে এবং মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নির্যাতিতা দুই বোনের চিকিৎসা ও মেডিক্যাল পরীক্ষার ব্যবস্থা করে।
পুলিশ অবশ্য জানাচ্ছে, ২জন ধর্ষণের সঙ্গে যুক্ত। মালদা পুলিশের এক আধিকারিকের কথায় , হবিবপুরের ধর্ষণের ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনার গুরুত্ব বিচারে এই ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে হবিবপুর থানার ওসি-কে। আটক অভিযুক্তকে জিঞ্জাসাবাদ করে বাকিদের নাম-পরিচয় জানা গিয়েছে। তাদের সন্ধান চলছে।” পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেছেন,” খুব তাড়াতাড়ি বাকিদের গ্রেপ্তার করা হবে বলেই আশা করছি।”
রাজোরিয়া আরও জানিয়েছেন, ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে দুজন জড়িত ছিল বলে তারা জানতে পেরেছেন। ঘটনায় বাকিদের কী ভূমিকা ছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিকে মেয়ের উপর অত্যাচারের খবর পাওয়া মাত্রই অসুস্থ হয়ে পড়েন নির্যাতিতার মা। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় মালদহ মেডিক্যাল কলেজে। তবে তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।