ওয়েব ডেস্ক: মহাসপ্তমীর সকাল থেকেই মেঘাচ্ছন্ন আকাশ। সপ্তমী-অষ্টমীতে এ রাজ্যে যে গভীর নিম্নচাপ থাকবে সেই পূর্বাভাস আগেই দিয়েছিল আবহাওয়া দফতর৷ হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, শুক্রবার দুপুরে সুন্দরবন দিয়ে স্থলভূমিতে ঢুকবে অতি গভীর নিম্নচাপ। এর জেরে প্রবল বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি ঝোড়ো হাওয়ারও সতর্কতা দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত নিম্নচাপটি ইতিমধ্যেই বেশ খানিকটা শক্তি বাড়িয়ে তা ক্রমশ গভীর হয়েছে। এর জেরে মহাসপ্তমীতেও দিনভর চলবে বৃষ্টি। তবে সব জায়গায় সেই পরিমাণ বৃষ্টি না হলেও বেশ কিছু জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
এবিষয়ে কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের বুলেটিনে অনুসারে, বর্তমানে নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে সাগরদ্বীপ থেকে ৩২০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ–পশ্চিমে অবস্থান করছে। এর জেরে আগামী ২৪ ঘণ্টায় সেটা অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। এদিকে আরও জানানো হয়েছে, শুক্রবার দুপুরে সুন্দরবনের মধ্য দিয়ে এই নিম্নচাপটি স্থলভূমিতে প্রবেশ করবে৷ বৃষ্টির পাশাপাশি এদিন ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যাোপাধ্যায় জানান, “গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। কলকাতা থেকে ৩৫০ কিমি দক্ষিণ দক্ষিণ–পূর্বদিকে রয়েছে এটি। আগামী ২৪ ঘণ্টায় আরও শক্তিশালী হয়ে অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। উত্তর–উত্তর পূর্বদিকে অগ্রসর হয়ে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ উপকূলের দিকে এগিয়ে যাবে।” জানা গিয়েছে এই নিম্নচাপটির প্রভাবে, শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগণা এবং কলকাতায় অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে শুধু বৃষ্টি নয়, পাশাপাশি উপকূলবর্তী অঞ্চলে হাওয়ার সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার হতে পারে। এর জেরে উত্তাল হতে পারে সমুদ্র। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এর জেরে সব থেকে বেশি প্রভাব পড়বে উত্তর আও দক্ষিণ ২৪ পরগণার উপকূলবর্তী অঞ্চলে। ফলে আপাতত দু’দিন মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার ওপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।