ওয়েব ডেস্ক: করোনা আক্রান্তের নিরিখে ইতিমধ্যে চীনের উহানকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে মহারাষ্ট্র। দেশের মধ্যেও আক্রান্তের তালিকায় সবার উপরে রয়েছে মহারাষ্ট্র। তবুও বিধিনিষেধ মেনে মিশন ‘বিগিন এগেইন’ এর আওতায় শর্তসাপেক্ষে বেশকিছু ছাড় ঘোষণা করা হয়েছে। এমনকি রাজ্যের মানুষের সুবিধার্থে জরুরি পরিষেবায় যুক্ত মানুষদের স্বার্থে লোকাল ট্রেন চালানোরও দাবি করেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু বহু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে বিধিনিষেধ না মেনে স্বাভাবিক জীবনযাপন করছে মানুষজন। এর ফলে বিধিনিষেধ না মানলে পুনরায় লকডাউনের হুশিয়ারী দেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে।
ইতিমধ্যেই দেশে আক্রান্ত ও মৃতের নিরিখে শীর্ষে মহারাষ্ট্র। এই মুহূর্তে মহারাষ্ট্রে সংক্রমিত ৯০, ৭৮৭ জন। তবুও অর্থনীতিকে সচল রাখতে বিধিনিষেধ মেনে আগের তুলনায় অনেকটাই শিথিল করে দেওয়া হয়েছে লকডাউন৷ কিন্তু দেখা যাচ্ছে মানুষ লকডাউনের তোয়াক্কা না করে ক্রমশই ভীড় বাড়াচ্ছেন রাস্তাঘাটে। শিকেয় স্বাস্থ্যবিধি!! সেই পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ধব ঠাকরে বলেন, “লোকজন যদি কথা না শোনেন, সোশ্যাল ডিস্টেন্সিং না মানেন, তবে সব ছাড় প্রত্যাহার করে ফের পুরো লকডাউন করে দেওয়া হবে।” লকডাউনের নিয়ম ভাঙার জন্য ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্র পুলিশের তরফে ১.২৫ লক্ষ মানুষের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে জানান, লকডাউন শিথিল হওয়ার পর বেশ কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে। এর ফলে রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় কোনও প্রকার সামাজিক দূরত্ব না মেনে যে ভাবে মানুষ ভীড় জমাচ্ছেন তাতে তিনি স্তম্ভিত। তিনি বলেন, বেশ কিছু মানুষ লকডাউনের পর থেকে সংক্রমণ দূর করতে সরকারকে নানাভাবে সাহায্য করে চলেছেন। কিন্তু দেখা যাচ্ছে অনেকেই সরকারের সিদ্ধান্ত না মেনে অবলিলায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। যদি এই নিয়ম না মানা হয় তবে পুনরায় লকডাউন ঘোষণা করতে বাধ্য হবে সরকার।
১ লা জুন থেকে শুরু হয়েছে আনলক ১। এর ফলে সারা দেশে খুলে গিয়েছে শপিং মল, রেস্টুরেন্ট, ধর্মীয় স্থান। এর জেরে খুশি দেশবাসী। কিন্তু অন্যদিকে, আনলক ১ শুরু হওয়ার পর থেকে দেশে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। এই পরিস্থিতিতে যেখানে দেশে সব থেকে বেশি আক্রান্ত মহারাষ্ট্রে সেখানে লকডাউন শিথিল করায় যে আরও সংক্রমণ ছড়াতে পারে সেই আশঙ্কা এড়ানো যাচ্ছে না।