নিজস্ব সংবাদদাতা: সোমবার হোলির দিন রাজ্যে দৈনিক সংক্রমনের পরিমান কম হল বেশ অস্বাভাবিক রকমই কিন্তু পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় লাফিয়ে বাড়ল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। এবং ঘটনা হল এই যে প্রতিদিনই জেলায় এই সংক্রমনের হার বেড়েই চলেছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের পরিসংখ্যান অনুযায়ী সোমবার রাজ্যে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬৩৯ যা গত দুদিনের মধ্যে যথেষ্টই কম। কারন শনিবার এবং রবিবার রাজ্যে দৈনিক আক্রমনের সংখ্যা ছিল ৮১২ এবং ৮২৭ জন অথচ শুক্রবার এই সংখ্যা ছিল ৬৪৬ জন। শুক্রবার থেকে শনিবার যে সংখ্যাটা প্রায় ২০০ বেড়ে গিয়েছিল ফের সোমবার এক লাফে ২০০তে নেমে যাওয়ায় খুশি হওয়ারই কথা ছিল কিন্তু বিশেষজ্ঞরা খুশি হতে পারছেননা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন হোলির ২দিন পরীক্ষার পরিমান কমে যাওয়াতেই দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে। এতে সন্তুষ্ট হওয়ার কিছু নেই। ঘটনাও তাই, শনিবার মোট করোনা পরীক্ষার পরিমান ছিল ২৪ হাজার ৪১৩ এবং রবিবার সেই পরীক্ষার পরিমান ছিল ২৬ হাজার ৫৪৫। সোমবার সেই পরীক্ষার পরিমান কমে দাঁড়িয়েছিল ১৮ হাজার ১১৬। সুতরাং আক্রান্তের সংখ্যা কমবে এতে অবাক হওয়ার কী রয়েছে? বরং আশঙ্কাটা থেকেই যাচ্ছে দৈনিক সংক্রমনের হার কমছেনা। বিপদের কারনটা বরং বাড়ছে অন্য দিক দিয়ে। সেই দিকটা হল দৈনিক সংক্রমনের হার ৩.১২ শতাংশ থেকে বেড়ে ৩.৫৩ শতাংশ হয়েছে।
অর্থাৎ রাজ্যের এই সংক্রমন কমকে মোটেই কম নয় বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এদিকে শুধুই রাজ্য নয় দেশের বিশেষজ্ঞরাও মনে করছেন রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি যথেষ্ট ভালো নয়। প্রথমতঃ দেশের ৪৬ টি করোনা প্রবন জেলার মধ্যে রয়েছে এই রাজ্যের কলকাতা ও উত্তর ২৪পরগনা এই দুটি জেলা। দ্বিতীয়তঃ মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাবের মতই পশ্চিমবঙ্গকেও করোনা মোকাবিলায় সমস্ত রকম প্রস্তুতি নিয়ে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন অর্থাৎ সব মিলিয়ে এ রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি ক্রমশঃ খারাপ হচ্ছে।
এদিকে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার করোনা পরিস্থিতিও ক্রমশ খারাপ হচ্ছে অর্থাৎ দৈনিক সংক্রমনের হার যথেষ্ট হারে বাড়ছে। শুক্রবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় নতুন করে ৩জন আক্রান্ত হয়েছিলেন। শনিবার জেলায় ৫জন নতুন করে আক্রান্ত হন। রবিবার আক্রান্ত হয়েছেন ৯ জন। সোমবার সেই আক্রান্তের সংখ্যা একলাফে ১৩জন হয়ে গেল।
অর্থাৎ গত ৪ দিনে বাড়তি ৩০ জন আক্রান্ত হলেন। এই ৪দিনে সুস্থ হয়েছেন ১৭জন। এই মুহুর্তে জেলায় সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ৬৯ জন। এই জেলায় এখনও অবধি মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ২০হাজার ৩৮০। করোনা মুক্ত হয়েছেন ১৯হাজার ৯৮৫ জন। এই জেলায় মৃত্যু হয়েছে মোট ৩১২জনের।