নিজস্ব সংবাদদাতা: গরীব মানুষকে ত্রান বিলি করা হবে এমনই কথা বলে সংগ্রহ করা হয়েছিল লক্ষ লক্ষ টাকা। সংগ্রহ করা হয়েছিল চালও। কথা ছিল লকডাউনের মধ্যে দুঃস্থ মানুষদের মধ্যে বিলি করা হবে। কিন্তু সেই দুঃস্থ মানুষদের জন্য বরাদ্দ চাল চুরি করে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃনমূলের চার নেতার বিরুদ্ধে। আর সেই অভিযোগে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে ঢুকে অভিযুক্ত শাসক দলের নেতাদেরকে ধরে গণধোলাই দিল সাধারণ মানুষ। এরপর দীর্ঘক্ষন তাঁদের আটকেও রাখা হয়।
শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার শাসন থানার মজলিসপুর বাজারের ২৩ নম্বর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ক্রুদ্ধ জনতা স্থানীয় চার তৃনমূল নেতাকে মারধর করার পর পার্টি অফিসে আটকে রাখে বলে খবর । জানতে পেরে শাসন থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্তদের উত্তেজিত জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ ত্রাণের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলে গ্রামবাসীদের সঙ্গে প্রতারণার করেছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাসত ২ নম্বর ব্লকের শাসন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ওই চার তৃণমূল নেতা। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, আঞ্চলের তরফ থেকে বিভিন্ন ইটভাটা মালিক, ভেড়ি মালিক ও কারখানার মালিকের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা তোলা হয় গরিব মানুষকে চাল-ডাল কিনে বিলি করার জন্য। কিন্তু সেই টাকা অঞ্চলস্তর থেকে গ্রাম কমিটিতে পাঠানো হয়। সেই টাকা থেকে মানুষকে কিছু দেওয়া হলেও প্রায় ৫০ হাজার টাকার চাল চার নেতা আত্মসাৎ করে। তাঁদের অভিযোগ স্থানীয় এলাকার জন্য বরাদ্দ চালের একটা অংশ নিজেদের ঘরেই নিয়ে যান ওই চার নেতা। অথচ বহু মানুষ চাল পায়নি।
সেই ক্ষোভের প্রকাশ হয় শনিবার সকাল থেকে। দফায় দফায় বিক্ষোভ শুরু হয় বেশ কয়েকটি অঞ্চলে। পার্টি অফিস ঘেরাওয়ের অভিযোগ ওঠে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় শাসন থানার পুলিশ। এরপর পুলিশকে ঘিরে গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ দেখায়। দোষীদের গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে তবে উত্তেজনা প্রশমিত হয়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই নেতারা। তাঁদের বক্তব্য তাঁরা কোনও চাল নিয়ে যাননি। এরমধ্যে বিরোধীদের উসকানি রয়েছে। ঘটনার বিস্তারিত খোঁজ নিচ্ছেন তৃণমূলের উর্ধতন কমিটি।