নিজস্ব সংবাদদাতা: গঙ্গাজল নয়, স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধোয়ার পরই জগন্নাথের হাতের ওপর হাত রাখল মিনু। সার্জিক্যাল মাস্ক পরেই পুরুত মশাইয়ের সঙ্গে দুজনেই মন্ত্র আউড়ালেন যদিদং হৃদয়ং তব , তদস্তু হৃদয়ং তব। এরপর মিনু তার পান পাতায় ঢাকা মুখ সরাতেই চার চোখে বিদ্যুৎ খেলে গেল। ব্যস, মধুরেন সমাপয়তে। শুক্রবার এভাবেই বিয়ে সম্পন্ন হয়ে গেল আসানসোলের সালানপুরের উত্তররামপুর জিৎপুর গ্রাম পঞ্চায়েত অন্তর্গত কল্যা গ্রাম-৬ ডাঙ্গালপাড়ার যুবক জগন্নাথ মির্ধার সাথে গ্রামেরই বাসিন্দা মিনু দাসের।
ছোট বেলা থেকেই এক সঙ্গে বেড়ে ওঠা। দেখতে দেখতে বড় হওয়া। আর তারপর দুটি পরিবারের সম্মতিতে ছ’মাস আগেই বিয়ের দিন হয়েছিল এই শুক্রবারই। মাঝখানে লকডাউন ভেস্তে দিল সব। ইচ্ছে ছিল লোকজন হৈ হুল্লোড় করে বিয়ে করার কিন্তু তা হওয়ার উপায় নেই।
গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান তাপস চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে নম নম করে সারতে হল বিয়ে। তাপস চৌধুরী বললেন পরে একটা সময় দেখে না হয় হৈহুল্লোড় করা যাবে খন আপাতত সামাজিক দুরত্ব মেনেই বিয়েটা দিয়ে দেওয়া হল। সব মিলিয়ে দু’পক্ষের সাকুল্যে ১০জনকে তিনফুট দুরত্বে দাঁড় করিয়ে বিয়ে হয়েছে।
পুরুত মশাই , বর, কনে সব্বাই মাস্ক পরেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বার বার আবেদন করেছেন সোশ্যাল ডিসটেন্স বজায় রাখতে বলেছে তাই আজ আমরা সব সুরক্ষা বজায় রেখে, ছেলে ও মেয়ে সহ পরিবারের সদস্যরা যারা বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন তাদের মুখে মাস্ক পরিয়ে,হাতে স্যানিটাইজার দিয়ে,দূরত্ব বজায় রেখে বিয়ে দিলাম।
বাজার খারাপ মানে বন্ধ তাই বিশেষ কিছু উপহার দিতে পারেননি অতিথিরা। দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারের সদস্য, তাই ওদের হাতে কিছু দিনের জন্য চাল, আলু, তেল, ডাল প্রভৃতি খাদ্যদ্রব্য তুলে দেওয়া হয়েছে।