নিজস্ব সংবাদদাতা: পরের দিন NEET পরীক্ষা বলে ১২সেপ্টেম্বরের লকডাউন তুলে নিয়েছিল রাজ্য আর ২দিনের লকডাউনের একদিন কমে যেতেই গুটিয়ে গেছিল পুলিশ প্রশাসনও। রাস্তায় মানুষ নেমেছেন, পুলিশ ধমকেছে চমকেছে তারপর ছেড়েও দিয়েছে অধিকাংশ জায়গাতে। জেলা জুড়ে লকডাউনে পুলিশের এই ঢিলে ঢালা ভাব বুঝিয়ে দিয়েছে লকডাউনের দিন শেষ হয়ে এল বলে।
এবারকার লকডাউন নিয়ে জোরালো প্রচারও হতে দেখা যায়নি। ফলে শুক্রবার চন্দ্রকোনা রোডে সবজি বাজারও বসতে দেখা গিয়েছে। ১১ই সেপ্টেম্বর লকডাউন নিয়ে পুলিশ এতটাই উদাসীন ছিল যে লকডাউন ভাঙার জন্য নির্দিষ্ট ধারায় মাত্র তিনটি থানা এলাকায় মোট ৮৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ১৬৭ জনকে থানা থেকে জামিন দেওয়া হয়েছে সতর্ক করার পর।
তবে লকডাউন বলবৎ করতে খড়গপুর পুলিশ ধারাবাহিক ভাবেই সক্রিয়তা এবং তৎপরতা দুটিই বজায় রেখেছে।১১তারিখ খড়গপুর শহর পুলিশের জালে লকডাউন ভাঙার দায়ে ৮৯ জন কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে যার মধ্যে ৫৩জনের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বাকি ৩৬ জনকে সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয় থানা থেকেই। সব মিলিয়ে জেলায় গ্রেপ্তার হওয়া ২৫৪ জনের মধ্যে খড়গপুর শহর আর গ্রামীন মিলিয়ে ১১৩জন।
প্রতিবারের মতই খড়গপুর পুলিশ বেশ কয়েকটি ভাগে ভাগ হয়ে দাপিয়ে বেরিয়েছে ইন্দা গোলবাজার খরিদা মালঞ্চ নিমপুরা এলাকায়। খড়গপুর টাউন পুলিশের ইন্সপেক্টর ইনচার্জ রাজা মুখার্জী সহ বিভিন্ন আধিকারিকদের নেতৃত্বে পুলিশের কয়েকটি দল রীতিমত ঝাঁপিয়ে পড়েছে খেলার মাঠ, চায়ের দোকান, আড্ডা আর জটলার জায়গা গুলোতে। তবে এদিনের পুলিশি অভিযানে নজর কেড়ে নিয়েছেন মহিলা কনস্টেবল বিউটি ব্যানার্জী।
ইন্দা ট্রাফিক এলাকার কল্যান মন্ডপের মাঠে নিয়ম ভেঙে ক্রিকেট খেলার অভিযোগে মাঠে নেমেছিল পুলিশ। পুলিশকে দেখে পালাতে যাওয়া কয়েকজনকে রীতিমত তাড়া করে ধরে ফেলেন বিউটি। কয়েকজন তো রীতিমত কান ধরে ক্ষমা চেয়ে ছাড়া পেয়েছে বিউটির হাত থেকে। শুক্রবারের লকডাউনে তাই খড়গপুর পুলিশের সেরা মুখ হয়ে উঠেছেন বিউটি ব্যানার্জী।