নিউজ ডেস্ক: লকডাউনের দ্বিতীয় সকাল। তবে এলাকায় ভীড় দেখে তা বোঝার উপায় নেই। তার একমাত্র কারণ লেপার্ডের হানা। সকাল থেকেই লেপার্ডের তান্ডব ঘিরে চাঞ্চল্য শিলিগুড়ি চম্পাসারীর সমরনগর এলাকায়।অবশেষে কয়েকঘণ্টার চেষ্টায় ধরল বনকর্মীরা।
সোমবার সকালে শিলিগুড়ি চম্পাসারির সমরনগর এলাকায় একটি লেপার্ড ঢুকে পড়ে। সেখানে একটি মাঠের সামনে সেটিকে দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপরই লেপার্ডটি সেখানে এক ব্যক্তির ওপর হামলা করে পাড়ায় ঢুকে যায়। সেখানে আরও দুজনের ওপর হামলা করে।সেখান থেকে একলাফ দিয়ে লেপার্ডটি একটি তিনতলা বাড়িতে ঢুকে পড়ে। তা দেখতেই ওই বাড়ির বাইরের গেট আটকে দেওয়া হয়। চিতাবাঘটি ভেতরেই আটকে থাকে।প্রায় সকাল ১০টার ঘটনা।
এরপরই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় প্রধাননগর থানার পুলিশ। খবর দেওয়া হয় সুকনা ওয়াইল্ড লাইফ স্কোয়াডকে।১২টা নাগাদ ওয়াইল্ড লাইফ স্কোয়াড ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।কয়েকঘণ্টার চেষ্টায় ওই বাড়ির সিঁড়ির জানালা দিয়ে ঘুমপাড়ানি গুলি ছোড়া হয় লেপার্ডটিকে। কাবু করে শেষমেষ জাল দিয়ে চিতাবাঘটিকে ধরা হয়। এরপরই গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
তবে আশেপাশের কোনো জঙ্গল থেকে এলাকায় লেপার্ডটি ঢুকেছিল বলে অনুমান। লেপার্ডের হামলায় ৩ জন যখম হয়েছেন। তাদের চিকিৎসা চলছে। ঘটনার পর শিলিগুড়ি সমরনগর এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। যদিও শেষমেশ লেপার্ডটি ধরা পড়তেই হাফ ছেড়ে বাঁচেন বাসিন্দারা।
অন্যদিকে আবার খাঁচা বন্দী হল একটি বিশাল পুরুষ লেপার্ড।মাল ব্লকের মানাবাড়ী চা বাগানে বটগাছ সংলগ্ন এলাকায় বৃহস্পতিবার ভোরে খাঁচা বন্দী হয় লেপার্ডটি। মাথায় আঘাত লাগা এই লেপার্ডটিকে মাল বন্য প্রানী বিভাগের কর্মীরা লাটাগুড়ি প্রকৃতি বীক্ষন কেন্দ্রে নিয়ে যায়।রেঞ্জার দীপেন সুব্বা বলেন সুস্থ হলে লেপার্ডটিকে গরুমারা জঙলে ছেড়ে দেওয়া হবে। একই জায়গায় ১১মে একটি সাব এডাল্ট স্ত্রী লেপার্ড খাঁচা বন্দী হয়েছিল।