নিউজ ডেস্ক: করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া নিয়ে জলপাইগুড়ি বার অ্যাসোসিয়েশনের আইনজীবী ও স্বাস্থ্য কর্মীদের মধ্যে শুরু হল দ্বৈরথ। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের এক আধিকারিককে হেনস্থার অভিযোগ উঠল কয়েকজন আইনজীবীর বিরুদ্ধে।
বিষয়টি নিয়ে শুক্রবার জলপাইগুড়ি জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দপ্তরের বাইরে বিক্ষোভ আন্দোলনে সামিল হন স্বাস্থ্য কর্মীরা। বিক্ষোভে অংশ নেন স্বাস্থ্য আধিকারিকরাও। যদিও স্বাস্থ্য আধিকারিকদের হেনস্থার অভিযোগ অস্বীকার করেন আইনজীবীরা। স্বাস্থ্য কর্মী ও আধিকারিকদের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার টিকা নিতে এসে অশান্তির পরিবেশ তৈরি করেন কয়েকজন আইনজীবী। টিকার দায়িত্বে থাকা কর্মী এবং আধিকারিককে হেনস্তা করার পাশাপাশি হুমকিও দেওয়া হয়।
করোনা পরিস্থিতিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্বাস্থ্য কর্মীরা যখন দিনরাত এক করে পরিষেবা দিয়ে যাচ্ছেন, তখন আইনজীবীদের এই আচরনে ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্বাস্থ্য কর্মীরা। শুক্রবার স্বাস্থ্য দপ্তরের বাইরে বিক্ষোভ দেখান তারা। অভিযুক্ত আইনজীবীদের শাস্তির দাবী জানান স্বাস্থ্য কর্মীরা।
যদিও, আইনজীবীদের অভিযোগ, সরকারি নির্দেশে টিকার জন্য জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরে ৬৮ জনের তালিকা পাঠিয়েছিলেন তারা। বার অ্যাসোসিয়েশন থেকে ওই তালিকা পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু টিকার দায়িত্বে থাকা উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে টিকা আটকে দেয়। এই নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়।কোনও হেনস্তা করা হয়নি বলে দাবী করেন বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক অভিজিৎ সরকার।