জ্যৈষ্ঠের ঝড় নজরুল
বিনোদ মন্ডল ১৯৪৯ সালে সদ্য স্বাধীন দেশে অসুস্থ নীরব-নজরুলকে অবলম্বন করে তরুণ কবি অন্নদাশঙ্কর রায় লিখেছিলেন একটি অবিনাশী স্তবক : ‘ভুল হয়ে গেছে বিলকুল।/আর সব কিছু ভাগ হয়ে গেছে/ভাগ হয়নিকো নজরুল।’দাঙ্গা বিধ্বস্ত জাতি। সদ্য বিভক্ত দেশ। বঙ্গভঙ্গের যন্ত্রণা। তার মাঝে নজরুল যেন দুই বাংলার হৃদয়।
পরবর্তীকালে নজরুলকে নিয়ে অসংখ্য গ্রন্থ দুই বাংলায় রচিত হয়েছে। তাঁর উদ্দেশ্যে নিবেদিত হয়েছে কত না অনুভববেদ্য চরণ মালা! একালের ছড়াকার ভবানীপ্রসাদ মজুমদারের মরমি উচ্চারণ : ‘নজরুল বাংলার, নজরুল বিশ্বের,/ নজরুল গরিবের – রিক্তের নিঃস্বের/ অন্তরে দাবদাহ দুঃসহ গ্রীষ্মের/ বুকভরা সংগ্রাম প্রতিজ্ঞা বিশ্বের।’
রুদ্র বৈশাখের শেষে এসেছেন রবীন্দ্রনাথ। নজরুল এলেন ১১ জ্যৈষ্ঠ। কালবৈশাখীর সব লক্ষণ বুকে নিয়ে। তখনকার অবিভক্ত বর্ধমান জেলায়, আসানসোল মহকুমার জামুরিয়া থানার অন্তর্গত চুরুলিয়া গ্রামে কবির জন্ম (২৪.০৫.১৮৯৯ — ২৯.০৮ .১৯৭৬)। গত হয়েছেন বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে।
তাঁর জীবনের কয়েকটি স্পষ্ট পর্যায় আভাসিত। ১৯১৭ তে সেনাবাহিনীতে যোগদান। ৪৯ নং বাঙালি পল্টনে। পরে হাবিলদার পদে উন্নীত হন। ১৯১৮ তে পত্রযোগে মুজফফর আহমদ -এর (কাকাবাবু) সাথে যোগাযোগ। ১৯২০ সালে কলকাতায় ফিরে কবি-সাহিত্যিকদের সান্নিধ্য লাভ। পত্রিকা সম্পাদনা, সাংবাদিকতার পাশাপাশি চুটিয়ে লেখালেখি এবং সক্রিয় রাজনীতি। ইতিহাস বলছে, ৪-৯ সেপ্টেম্বর, ১৯২০ তে অনুষ্ঠিত কংগ্রেসের বিশেষ অধিবেশনে তিনি নবযুগ’ পত্রিকার পক্ষে কাকাবাবুর সাথে প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দিচ্ছেন। কলকাতায় আয়োজিত এই অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন লালা লাজপত রায়। ১৯২১ সালে ৩/৪ সি তালতলা লেনের বাড়িতে বসে মুজফফর আহমদ সাহেবরা যখন কমিউনিস্ট পার্টি গঠনের পরিকল্পনা করছেন, তখনও তিনি পাশে। তবে সমর্থক থেকেছেন। সদস্য পদ গ্রহণ করেননি। কেননা পার্টিজান হবার শৃংখলে আবদ্ধ হওয়া তাঁর ধাতে ছিল না। ১৯৩০ পর্যন্ত মৌলিক লেখালেখিতেই জনপ্রিয়তার তুঙ্গে আরোহণ করেছেন। পরবর্তী সময়টা কেটেছে গান নিয়ে মূলতঃ। ১৯৩৩ এ “ধ্রুব ” ছায়াছবির সংগীত পরিচালনা করেছেন। ১৯৩৪ এ ‘কল- গীতি’ নামে রেকর্ড এর দোকান খুলেছেন। ১৯৩৬ এ তা নিলামে উঠেছে। তিন হাজারেরও বেশি গানের স্রষ্টা নজরুল।
‘রবীন্দ্রনাথ ও উত্তরসাধক’ গ্রন্থে কবি ও সমালোচক বুদ্ধদেব বসু তাঁর মূল্যায়ন করে লিখেছেন – ‘রবীন্দ্রনাথের পর বাংলা ভাষায় তিনি প্রথম মৌলিক কবি।’ এদিকে স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ এই অনুজ এর মূল্যায়ন করে বলেছেন – ‘অরুগ্ন বলিষ্ঠ হিংস্র নগ্ন বর্বরতার অনবদ্য ভাবমূর্তি রয়েছে কাজীর কবিতা ও গানে’। নজরুল যখন ‘লাঙল’ সম্পাদনা করেছেন – কবিগুরুর আশীর্বাণী ” জাগো জাগো বলরাম/ধর তব মরু- ভাঙা হল।/বল দাও ফল দাও/শুদ্ধ করো ব্যর্থ কোলাহল’। আবার ‘ধূমকেতু’ পত্রিকার পথচলাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে মহাকবির আহ্বান: ‘আয় চলে আয় রে ধূমকেতু/ আঁধারে বাঁধ অগ্নিসেতু;/ দুর্দিনের এই দুর্গশিরে/ উড়িয়ে দে তোর বিজয় কেতন/ অলক্ষণের তিলকরেখা/ রাতের ভালে হোক না লেখা/ জাগিয়ে দেবে চমক মেরে/ আছে যারা অর্ধচেতন’। কারারুদ্ধ নজরুল যখন অনশনরত, তখন তাঁকে উপবাস ভঙ্গ করবার জন্য তিনি তার করেন – ”give up hunger strike, our literature claims you.” যদিও অবাক বিষয়, জেল কর্তৃপক্ষ এ তার তাঁর হাতে না দিয়ে নজরুলের অগোচরে রবীন্দ্রনাথকে তা ফেরত পাঠান। খামের উপরে দাগা হয় – ‘addressee is not found.’
নবীন প্রজন্মের একাংশ তাঁর জেল যাত্রার খবর হয়তো জানেন না। এগিয়ে রাখা, এগিয়ে থাকা প্রগতিশীল পত্রিকা- আনন্দবাজার -পূজা সংখ্যার জন্য আমন্ত্রিত লেখা ‘আনন্দময়ীর আগমনে’ ছাপার সাহস পায়নি। অগত্যা নজরুল ধূমকেতু পত্রিকায় প্রকাশ করেন (২৬.০৯ .১৯২২)। ৮ নভেম্বর পত্রিকা দপ্তরে পুলিশ আসে। কপি সংগ্রহ করে। ২৩ নভেম্বর (১৯২২) বেলা বারোটার সময় কুমিল্লা শহরে কবিকে গ্রেপ্তার করা হয়। আনা হয় কলকাতায়। প্রথমে বিচারাধীন বন্দী হিসেবে কলকাতার প্রেসিডেন্সি জেলে রাখা হয়। ১৬ জানুয়ারি ১৯২৩ এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন। ঠিকানা আলিপুর সেন্ট্রাল জেল। পরে বদলি করা হয় হুগলি জেল- খানায়।
এখানে ভয়ংকর অত্যাচার করা হতো। বিশেষ শ্রেণীর নাম করে রাজনৈতিক বন্দীদের সাধারণ কয়েদি ও দাগি আসামিদের সঙ্গে রাখা হতো। ন্যূনতম স্বাচ্ছন্দ্যের দাবিতে নজরুলের নেতৃত্বে শুরু আন্দোলন। জেল কর্তৃপক্ষও দমন-পীড়ন বাড়াতে শুরু করে। প্রতিবাদে রাজনৈতিক বন্দিরা গণ অনশন শুরু করেন। লজ্জার বিষয় চূড়ান্ত শাস্তি হিসেবে কবির হাতে কড়া এবং পায়ে বেড়ি পরিয়ে পৃথক সেলে রাখা হয়। তাতে কি কখনও কোনো কবিকে থামানো যায়! এবার ব্যঙ্গ সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে ‘অত্যাচারী জেলার’ – কে অভিনন্দন জানালেন নজরুলঃ
তোমারি জেলে পালিছ ঠেলে তুমি ধন্য ধন্য হে।
আমার এ গান তোমারি ধ্যান তুমি ধন্য ধন্য হে।।
রেখেছো শান্ত্রী পাহারা দোরে
আধার কক্ষে জামাই আদরে
বেঁধেছ শিকল – প্রণয় – ভরে।
তুমি ধন্য ধন্য হে।।
আঁকাড়া চালের অন্ন লবণ
করেছ আমার রসনা লোভন, /বুড়ো ডাঁটা-ঘাঁটা
লাপসি শোভন /তুমি ধন্য ধন্য হে।।
ধর ধর খুড়ো চপেটা মুষ্টি
খেয়ে গয়া পারে সোজা সন্তুষ্টি
ওল ছোলা দেহ ধবল কুষ্টি
তুমি ধন্য ধন্য হে!
বাধ্য হয়ে তাঁকে বহরমপুর সেন্ট্রাল জেলে বদলি করা হয়। সেখানে পাশের সেলে কিছুদিনের অতিথি তখন সুভাষচন্দ্র। নেতাজি তাঁর অনুরাগী ছিলেন। ১৯২৯ সালে সেই যে বছর কাজী সব্যসাচী জন্ম নিচ্ছেন, সেবার ১৫ ডিসেম্বর কলকাতার অ্যালবার্ট হলে (এখনকার কফি হাউস) জাতির পক্ষ থেকে নজরুলকে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন আচার্য্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়। প্রধান অতিথি সুভাষ চন্দ্রের অনুরোধে ‘দুর্গম গিরি’ সংগীত পরিবেশন করেন নজরুল। আর সুভাষচন্দ্র তাঁর ভাষণে বলেন — আমরা যখন যুদ্ধক্ষেত্রে যাব – তখন সেখানে নজরুলের যুদ্ধের গান গাওয়া হবে। আমরা যখন কারাগারে যাব – তখনও তাঁর গান গাইব। আমি ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে ঘুরে বেড়াই; বিভিন্ন প্রাদেশিক ভাষায় জাতীয় সংগীত শুনবার সৌভাগ্য আমার হয়েছে, কিন্তু নজরুলের দুর্গম গিরি কান্তার মরুর মতো প্রাণ মাতানো গান কোথাও শুনেছি বলে মনে হয় না।
মহাত্মা গান্ধীও প্রথম সাক্ষাতে নজরুলকে সাদরে বরণ করেন। ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে ফরিদপুরে অনুষ্ঠিত কংগ্রেসের প্রাদেশিক সম্মেলনে উভয়ের পরিচয় ঘটে। অধিবেশনের কর্মসূচিতে চরকায় সুতো কাটার নির্ঘণ্ট ছিল। সম্মেলন মঞ্চে নজরুল গান করেন-
ঘোররে ঘোররে আমার সাধের চরকা ঘোর-
এ স্বরাজ রথের আগমনী শুনি চাকার শব্দে তোর।।
দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের সঙ্গেও কংগ্রেসের সূত্রে নিত্য যোগাযোগ ছিল নজরুলের। ফরিদপুরের এই অধিবেশনে দেশবন্ধুর সঙ্গেই তিনি গিয়েছিলেন। সেখানে ‘হিন্দু-মুসলিম প্যাক্ট’ নিয়ে বিস্তর আলোচনা দেখে কবি বিরক্ত হয়ে লেখেন তাঁর হিন্দু-মুসলিম প্যাক্ট কবিতা :-
বদনা গাড়ুতে গলাগলি করে নব প্যাক্টের আশনাই
মুসলমানের হাতে ছুরি নাই, হিন্দুর হাতে বাঁশ নাই।
দেশবন্ধুর স্ত্রী বাসন্তী দেবীও কংগ্রেসের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। তিনি সম্পাদনা করতেন ‘বাঙলার কথা’ পত্রিকা। স্বামীর সূত্রে ১৯২১ সালে তাঁর নজরুলের সাথে আলাপ হয়। তাঁর কাগজে কবি লেখেন তাঁর বিখ্যাত ‘ভাঙার গান’:
‘কারার ঐ লৌহ কপাট/ভেঙে ফেল, কররে লোপাট/রক্ত জমাট/শিকল পূজার পাষাণ-বেদী।’
দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের (৫.১১.১৮৭০–১৬.০৬.১৯২৫) মৃত্যুর পর সুভাষচন্দ্র ও যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্তের মধ্যে নেতৃত্ব নিয়ে লড়াই শুরু হয়। জাতীয় কংগ্রেসের প্রাদেশিক সম্মেলন মঞ্চে তার ছাপ পড়ে। সভাপতি বীরেন্দ্রনাথ শাসমল তাঁর বক্তব্য শুরু করতেই গোলমাল লেগে যায়। মারামারি চেঁচামেচির মধ্যে নজরুলই বীরেন্দ্রনাথকে উত্তেজিত প্রতিনিধিদের মাঝখান থেকে মুক্ত করেন। এই সম্মেলনের উত্তেজনার আঁচ আগেই পেয়েছিলেন দূরদর্শী কবি। কেননা সম্মেলনের শুরুতে তাৎপর্যপূর্ণভাবে পরিবেশন করেন উদ্বোধনী সংগীত-
“দুলিতেছে তরী, ফুলিতেছে জল, ভুলিতেছে মাঝি পথ,
ছিঁড়িয়াছে পাল, কে ধরিবে হাল, আছে কার হিম্মৎ?
কে আছ জোয়ান, হও আগুয়ান, হাঁকিছে ভবিষ্যত।
এ তুফান ভারী, দিতে হবে পাড়ি, নিতে হবে তরী পার।।”
এ গান তাঁকে সভা-সমিতি, কলে কারখানায়, মাঠে ময়দানে সর্বত্র পরিবেশন করতে হতো। তিনি ছিলেন স্বভাব কবি; স্বভাব গায়ক। যে কোনো পরিস্থিতিতে আসর জমাতে তাঁর জুড়ি মেলা ভার। নলিনাক্ষ সান্যালের বিবাহ উপলক্ষে আয়োজিত প্রীতিভোজে ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় ইত্যাদি বর্ণ ক্রমে পংক্তি ভোজনের ব্যবস্থা হয়েছিল। নজরুল কোন সারিতে বসবেন? মুখোমুখি বাড়ি উমাপদ ভট্টাচার্যের। সেখানে গিয়ে হারমোনিয়াম টেনে নিলেন। পূর্বে লেখা কবিতায় সুরারোপ করে বিয়ে বাড়িতে আমন্ত্রিত বর্ণময় অতিথিদের উদাত্ত কণ্ঠে দিলেন শুনিয়ে:
জাতের নামে বজ্জাতি সব জাত-জালিয়াৎ খেলছ জুয়া।
ছুঁলেই তোর জাত যাবে? জাত ছেলের হাতের নয়তো মোয়া।।
হুঁকোর জল আর ভাতের হাঁড়ি, ভাবি এতেই জাতির জান
তাইতো বেকুব করলি তোরা এক জাতিকে একশ খান!
এখন দেখিস ভারত জোড়া
পচে আছিস বাসি মড়া
মানুষ নাই আজ, আছে শুধু জাত শিয়ালের হুক্কাহুয়া।।”
সম্পদে- নিঃস্বতায়, আদরে অবহেলায়, হর্ষে বেদনায় মথিত এক মহা জীবনের নাম কাজী নজরুল ইসলাম। ১৯৪৫ এ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় জগত্তারিণী স্বর্ণপদকে তাঁকে ভূষিত করেছে। ১৯৬০ এ ভারত সরকার প্রদান করেছে পদ্মভূষণ উপাধি। ১৯৭৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কবিকে ডি.লিট প্রদান করেছে। ১৯৭৬ এ বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পান, এবং গ্রহণ করেন একুশের পদক। প্রাপ্তির মাঝে অপ্রাপ্তিও অনেক। ১৯৩৯ থেকে আর্থিক দুর্দশা শুরু হয় কবির। স্ত্রী প্রমীলার অসুখ বৃদ্ধি পায়। ১৯৩১ এ শখ করে কেনা ক্রাইশলার গাড়ি বিক্রি করে দেন। জমি বিক্রি হয়ে যায়। বইয়ের স্বত্ব ও রেকর্ডের রয়্যালটি বন্ধক দিতে হয় টাকার জন্য।
১৯৪২-এর জুলাইতে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হন কবি। লুম্বিনী পার্ক মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১৯৪৩-এ ঘরে ফেরেন। আর্থিক অনটনের জন্য ‘নজরুল সাহায্য কমিটি’ গঠিত হয়। ১৯৫২ তে পুনরায় ‘নজরুল নিরাময় কমিটি’ গঠন করা হয়। রাঁচি থেকে লন্ডন সর্বত্র চেষ্টা করেও রোগ নিরাময় তো দুরস্ত নিরূপিত হয়নি। ১৯৭২-এ বাংলাদেশে পাকাপাকিভাবে চলে যান। মাসিক এক হাজার টাকা ভাতা সহ রাষ্ট্রীয় অতিথি হিসাবে ঢাকায় থাকেন কবি। শেষ ইচ্ছে ছিল জন্মভূমি চুরুলিয়াতে প্রমীলার পাশে শায়িত হবেন, তা পূরণ হয়নি। মৃত্যুর পর পিতার কবরে মাটি দেওয়ার ইচ্ছেও অপূর্ণ থেকে যায় কাজী সব্যসাচীর, বিমান বিলম্বের ফলে। আবার কলম ধরেন কবি- অন্নদাশংকর! ‘হায় কী বেদন! হায় কী রোদন!/ সন্তান অভাগার/ পিতার কবরে একমুঠো মাটি/ দেওয়া হল না কো আর। /কেউ জানলে না ইতিহাসে ফের/ ভুল হয়ে গেছে বিলকুল/ এত কাল পরে ধর্মের নামে/ ভাগ হয়ে গেল নজরুল।’