ওয়েব ডেস্ক: করোনা আক্রান্ত কলকাতায় এবার স্বার্থপর দৈত্য! আর সেই দৈত্যর ভয়াবহ নিষ্ঠুর খাবার গ্রাসে তিন শিশু। রবিবার সন্ধ্যায় বড়বাজারের নন্দরাম মার্কেট এলাকায় এক নারকীয় ঘটনার সাক্ষী থাকলো গোটা কলকাতা। ৫ তলার বারান্দা থেকে তিনটি শিশুকে ছুঁড়ে ফেলে দিল শিবকুমার গুপ্তা নামক এক প্রতিবেশী। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জেরে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দেড় বছর বয়সী একটি শিশু। কোনও রকম রক্ষা পায় দুটি শিশু।
স্থানীয় সূত্রে খবর, নন্দরাম মার্কেট লাগোয়া একটি বাড়িতে ছয়তলায় থাকেন শিব কুমার গুপ্তা ও বুধন সাহু। রবিবার বুধনের দেড় বছর বয়সি ছোট ছেলে শিবম, পাঁচ বছর বয়সি নাতি বিশাল, আরেক আত্মীয়র সন্তান এরা সকলেই প্রত্যেকদিন বারান্দায় বসে খেলা করেন। এই নিয়ে শিবকুমারের সাথে বুধনের ঝামেলাও হয়। এর কিছুক্ষণ পর ফের ওই তিনজন শিশু রোজের মতোই বারান্দায় খেলতে থাকে। শিশু সুলভ ঝগড়াঝাটিতে জড়িয়ে পড়ে তারা।
তখনই রেগে গিয়ে আচমকা তাদের ফেলে দেয় শিবকুমার। এদের মধ্যে ২ শিশু পাঁচতলা থেকে নিচে পড়ে যায়। দেড় বছরের দুধের শিশুর মৃত্যু হয় সঙ্গে সঙ্গে। মাটিতে পড়ে থেঁতলে যায় মুখ, চোখ। কোনওক্রমে রেলিং ধরে রক্ষা পায় এক শিশু। সাত বছরের আরেকজনের শরীর জড়িয়ে যায় তারে। তাকে উদ্ধার করেন এলাকার মানুষ। সরাসরি মাটিতে না পড়ায় বাকি দু’জন কোনওমতে বেঁচে যায়। ঘটনার পর স্থানীয়দের তরফে খবর দেওয়ায় পুলিশে৷ পুলিশ এসে গ্রেপ্তার করে বড়বাজার থানার পুলিশ। শিবকুমারকে উদ্ধার করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন স্থানীয়রা। প্রতিবেশীদের দাবি, পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া যাবে না শিবকুমারকে। গণপিটুনিই তার উপযুক্ত শাস্তি।
যদিও পরে পুলিশ তাদের বুঝিয়ে শিবকুমারকে উদ্ধার করে গ্রেপ্তার করেছে।
জানা গেছে শিবকুমার কারও সাথেই খুব একটা মিশতনা। অত্যন্ত রগচটা এই ব্যক্তির অত্যাচারে তার স্ত্রীও আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিল।গোটা ঘটনায় স্তম্ভিত এলাকার ব্যবসায়ী ও সাধারণ বাসিন্দারা। মানুষ এত নিষ্ঠুর হতে পারে তা নিজের চোখে দেখল বড়বাজার। পুলিশ শিবকুমারের বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ৩০২ধারায় খুনের মামলা সহ আরও কয়েকটি ধারায় মামলা করেছে।