নিজস্ব সংবাদদাতা: বীরভূমের খয়রাশোলে এক বিজেপি মণ্ডল সহ-সভাপতিকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগে তীব্র উত্তেজনা ছড়াল বীরভূমের খয়রাশোলে। জামিন মুক্তি পেয়ে শনিবারই বাড়ি ফিরেছিলেন ওই বিজেপি নেতা। ঘটনায় শাসকদলের দিকেই আঙুল তুলেছে বিজেপি। অন্যদিকে পুরানো শত্রুতার জেরেই এই খুন বলে দাবি তৃনমূলের। সব মিলিয়ে ঘটনাকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
জানা গিয়েছে, মৃত ওই বিজেপি নেতার নাম মিঠুন বাগদি। খয়রাশোল ব্লকের বিজেপির ‘এ’ মণ্ডলীর বুথ সহ-সভাপতি মিঠুনের বাড়ি খয়রাশোল ব্লকের কাঁকড়তলা থানার অন্তর্গত নবসন গ্রামে। জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন আগে গ্রামেরই ১০০ মিটার দূরে রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয় ২৭ বছর বয়সী রাজু বাগদি নামে এক যুবকের। তাতে নাম জড়িয়েছিল মিঠুনের।মিঠুন খুন করেছেন রাজুকে, এমনটাই অভিযোগ পুলিশের কাছে দায়ের হয়। তদন্তে নেমে মিঠুনকে মূল আসামি হিসেবে গ্রেফতার করে পুলিশ।
সেই থেকে জেলে ছিলেন তিনি। তারপর তিনমাস ধরে জেল হেফাজতে ছিলেন ওই বিজেপি নেতা। সেই ঘটনায় জামিন পাওয়ার পর শনিবার সে যখন বাড়ি থেকে কয়েক হাত দূরে তাঁর উপর একদল লোক চড়াও হয় বলে দাবি স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের। শুধু পেটানোই নয়, ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে কোপানোও হয় বলে অভিযোগ নিহতের পরিবারের।
জানা গেছে জামিনে ছাড়া পাওয়ার মিঠুন প্রথমে কিন্তু গ্রামে ঢোকেননি। শ্বশুরবাড়িতে ছিলেন। শনিবার গ্রামে ফিরলে তাঁর উপর হামলা চালানো হয়। ভিড়ের মধ্যে রাজুর পরিবারের লোকজনও শামিল ছিলেন বলে অভিযোগ নিহতের পরিবারের। ঝামেলা দেখে গ্রামের লোকজন পুলিশে খবর দেন। কাঁকড়তলা থানার পুলিশ গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় মিঠুনকে উদ্ধার করে নাকড়াকোন্দা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। কিন্তু সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
ইতিমধ্যে এই ঘটনায় কাঁকড়তলা থানার পুলিশ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে। বিজেপির জেলা নেতৃত্বের দাবি, রাজনৈতিক প্রতিহিংসাতেই খুন হতে হয়েছে মিঠুনকে। অন্যদিকে তৃনমূলের দাবি, পারিবারিক আক্রোশের জেরেই এই ঘটনা। এর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। উল্লেখ্য বারবার একের পর এক খুনের ঘটনায় এর আগেও চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে খয়রাশোল এলাকায়। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ছাড়াও শাসক বিরোধী দুই দলেরই রক্ত ঝরেছে। মাঝে বেশ কিছুদিন চুপচাপ থাকার পর ফের রক্ত ঝরল এই এলাকায়।