নিজস্ব সংবাদদাতা: বে-পারওয়া বাইক চালানো নিয়ে বচসা ও হাতাহাতির জেরে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হল এক যুবকের। শনিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে খড়গপুর শহরের নিমপুরা এলাকার ক্ষুদিরামপল্লী নামক স্থানে। ঘটনার পরই পলাতক হয়ে যায় তরুণ যদিও রবিবার সন্ধ্যা নাগাদ সে খড়গপুর টাউন থানায় আত্মসমর্পণ করেছে বলে জানা গেছে। সোমবার তাকে আদালতে পেশ করতে চলেছে পুলিশ।
জানা গেছে ক্ষুদিরামপল্লী এলাকাতেই বাড়ি নিহত যুবক ও অভিযুক্ত তরুণের। নিহত যুবকের নাম বাপি মাহাত বয়স ২৯বছর, অন্যদিকে অভিযুক্ত তরুণের নাম মনু দাস বয়স আনুমানিক ১৯ বছর। দুজনেই নিমপুরার একটি সিমেন্ট ফ্যাক্টরিতে ঠিকাদারের অধীন কাজ করত। সব মিলিয়ে দুজনেই দুজনের পূর্ব পরিচিত। মনুর একটি মোটর বাইক ছিল যা নিয়ে সে অবসর সময় বের হত এদিক ওদিক ঘুরে আসতে। মনু খুবই বেপারওয়া বাইক চালাতো এমন অভিযোগ ছিল।
অভিযোগ আরও যে শনিবারও সে এলাকা দিয়েই সশব্দে বাইক নিয়ে যাচ্ছিল অভিযুক্ত মনু দাস। বাপি মনুকে দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞাসা করে কেন সে এত জোরে মোটর চালায়। যে কোনও সময় দুর্ঘটনায় কারও বিপদ হতে পারে। এরপরই মনু গাড়ি দাঁড় করিয়ে বাপিকে নিজের চরকায় তেল দিতে বলে। শুরু হয়ে যায় ২জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি, বচসা। অভিযোগ সেই বচসা একসময় হাতাহাতিতে পরিণত হয়। একসময় মনুর ধাক্কায় সরাসরি পেছন দিকে পড়ে যায় বাপি এবং সেখানেই জ্ঞান হারায়।
প্রতিবেশীরা ধরাধরি করে তাঁকে নিয়ে আসে খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে যেখানে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। ঘটনার পরই জনরোষের ভয়ে আত্মগোপন করে মনু। কিন্তু সম্ভবতঃ বেশিদিন পালিয়ে বেড়ানো সম্ভব নয় অনুভব করেই রবিবার সন্ধ্যায় থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে মনু। তার বিরুদ্ধে একটি খুনের মামলা রুজু করতে চলেছে পুলিশ নিহত বাপির স্ত্রী ছাড়াও ২টি নাবালক সন্তান রয়েছে। মনে করা হচ্ছে নিজের সন্তানদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই সে মনুকে বেপরওয়া বাইক চালাতে মানা করেছিল।