Homeঅন্যান্যফের অকাল শ্রাবনের ধারা স্রোতে ভাসল খড়গপুর, মেদিনীপুর! এখুনি মুক্তি নেই জানাল...

ফের অকাল শ্রাবনের ধারা স্রোতে ভাসল খড়গপুর, মেদিনীপুর! এখুনি মুক্তি নেই জানাল আবহাওয়া দপ্তর

নিজস্ব সংবাদদাতা: আধ ঘন্টার বৃষ্টি সঙ্গে ঝড়ো হাওয়ার দাপট ফের ভাসিয়ের দিল খড়গপুর আর মেদিনীপুর শহরেকে। তবে পরিমানের দিক থেকে বৃষ্টি হয়েছে খড়গপুরেই বেশি। সঙ্গে ব্যপক বজ্রপাতে দমকে দমকে কেঁপে উঠেছে খড়গপুর শহর। আর এরই সঙ্গে পর পর তিনদিন বৃষ্টি হল দুই শহরে। যদিও মেদিনীপুর শহরের বৃহস্পতিবার বৃষ্টি হয়েছে খুবই কম। বৃহস্পতিবার খড়গপুর আর মেদিনীপুরের সাথেই বৃষ্টি হয়েছিল বেলদা, নারায়নগড় , সবং, পিংলা, দাঁতন, কেশিয়াড়ীতে। অন্যদিকে শুক্রবার খড়গপুর, মেদিনীপুরের সাথে ভাসল কেশপুর, আনন্দপুর, শালবনী, চান্দ্রকোনা।
শুক্রবার খড়গপুর শহরে বিকাল ৩.৪৫ নাগাদ ঝাঁপিয়ে বৃষ্টি শুরু হয় ইন্দা এলাকায় সঙ্গে বাতাসের তীব্রতা। আর মিনিট পাঁচেক পরে আইআইটি সংলগ্ন এলাকায়। মাঝে মালঞ্চ, খরিদা ও নিমপুরা এলাকা। সব মিলিয়ে পুরো খড়গপুর ভিজেছে আধঘন্টার অকাল ধারা শ্রাবনে। এরই ঘন কালো মেঘে বৃষ্টি হয় মেদিনীপুরেও।

শুক্রবার বৃষ্টি হতে পারে এমনটা আগেই বলেছিল আবহাওয়া দপ্তর। ছিল সারা দক্ষিণবঙ্গ জুড়েই ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস। আন্দামানে সাগরে আজই তৈরি হতে পারে নিম্নচাপ। ৪৮ ঘন্টায় সেটা পরিণত হতে পারে গভীর নিম্নচাপে। পরবর্তীতে তা শক্তি বাড়িয়ে অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, নিম্নচাপের অভিমুখ মায়ানমার উপকূলের দিকে। ফলে শনিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে বাড়তে পারে বৃষ্টির পরিমাণ।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে আন্দামান সাগরে তৈরি হচ্ছে নিম্নচাপ যা আগামী ৪৮ ঘন্টায় সেটা গভীর থেকে অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে বলে জান যায়। প্রথমে এই নিম্নচাপ উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিক পরে উত্তর-পূর্ব দিকে সরে যাবে। পরে বাংলাদেশ ও মায়ানমার উপকূলে সরে যাবে।

এর ফলে উত্তরবঙ্গেও বাড়তে পারে বৃষ্টির পরিমাণ। তবে শনিবার রাতের পর থেকে বা রবিবার সকালে মেঘমুক্ত হবে আকাশ। আজ সকাল থেকেই বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকায় বজায় ছিল আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি। বেশ কয়েকটি জেলায় বিক্ষিপ্ত থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানায় হাওয়া অফিস।  আলিপুর সূত্রে খবর, বাংলাদেশ লাগোয়া এলাকায় একটি ঘূর্ণাবর্তের জেরেই দক্ষিণবঙ্গে ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। উত্তর বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে এই ঘূর্ণাবর্ত। সেটা শক্তিশালী হলে বৃষ্টি এবং দমকা হাওয়ার দাপট বাড়বে বলেই মত আবহবিদদের। সেক্ষেত্রে ঝড়বৃষ্টি আরও কিছুদিন চলতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। তবে একটানা বৃষ্টির বদলে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হবে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। কোথাও তীব্রতা বেশি, কোথাও বা কম। ঝড়বৃষ্টির স্থায়িত্বও বেশিক্ষণ হবে না বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

এদিকে  উত্তরবঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। আরও একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে ছত্রিশগড় এলাকায়। এর প্রভাবে বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর জলীয়বাষ্প ঢুকছে রাজ্যে। তার ফলেই ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়।
শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকবে বলে জানিয়েছে আলিপুর। এছাড়াও সারাদিনই আংশিক মেঘলা থাকবে আকাশ।  আইআইটি ক্যাম্পাস ওয়েদার জানাচ্ছে আজ খড়গপুর  শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের তুলনায় ৩ ডিগ্রি কম। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের তুলনায় ২ডিগ্রি কম। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বাধিক ৮৯ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৫৩ শতাংশ। ইতিমধ্যেই রবিবার অবধি সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে মৎস্যজীবীদের। সব মিলিয়ে আরও কয়েকটা দিন দুর্ভোগের আশংকা।

RELATED ARTICLES

Most Popular