Homeএখন খবরপ্রদীপকে ক্ষমতা দেখিয়েই আন্দোলন থেকে সরলেন মুনমুন রবিশঙ্কররা, খড়গপুরে নয়া প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে...

প্রদীপকে ক্ষমতা দেখিয়েই আন্দোলন থেকে সরলেন মুনমুন রবিশঙ্কররা, খড়গপুরে নয়া প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে বিধায়ক

নিজস্ব সংবাদদাতা: জেলা সভাপতি অজিত মাইতির নির্দেশ বা অনুরোধ ছিল আন্দোলন প্রত্যাহার করার। সেই কথা মত আন্দোলন প্রত্যাহার করেও নিলেন মুনমুন চৌধুরী আর রবিশঙ্কর পান্ডেরা কিন্তু প্রত্যাহার করলেন ময়দানে নেমেই। বুধবার দুপুরে খড়গপুর বোগদায় ডিআরএম অফিসের সামনে হাজার খানেকেরও বেশি সমর্থকদের সামনেই সাংবাদিকদের সামনে জেলার তৃনমূল মুখপাত্র মুনমুন চৌধুরী জানালেন,’জেলা সভাপতির আবেদনে সাড়া দিয়ে আজকের মত আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিলাম আমরা কিন্ত এরচেয়েও বড় জনায়েত করে রেলের বস্তিবাসীদের জন্য আন্দোলন করব আমরা।”

বলাবাহুল্য সাংবাদিকদের মাধ্যমে অভিজ্ঞ মুনমুন বার্তাটি পৌঁছে দিলেন শহরের বিধায়ক প্রদীপ সরকার ও তাঁর অনুগামীদের কাছে হয়ত বা পিকের টিমের কাছেও। সামনের নির্বাচনে ফের পিকের টিমই তো বিধানসভার টিকিটের জন্য সুপারিশ করবে!

আন্দোলনকে দ্বৈরথ জমে গিয়েছিল খড়গপুর শহর জুড়ে। মুনমুন আর রবিশঙ্কররা কয়েকদিন আগেই রেল বস্তি বাঁচাও কমিটি গড়ে ২৬আগস্ট ডিআরএম অফিস অভিযান ঘোষণা করার পরই। অজিত মাইতি বলেছিলেন, দল অনুমোদন করছেনা কমিটি বা আন্দোলন কোনটাকেই। প্রদীপের বক্তব্য ছিল, সমান্তরাল সংগঠন গড়ে শহর তৃণমূলকে দুর্বল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। পাল্টা মুনমুনের বক্তব্য ছিল, চার দেয়ালের মধ্যে বসে সংগঠন বা আন্দোলন করা যায়না। প্রদীপের জবাব ছিল চার দেয়ালের মধ্যে থাকলে ভোটে জিতে বিধায়ক হতে পারতামনা। ”

এই জমায়েতটা করে প্রদীপ সরকারকে আমরা দেখিয়ে দিলাম যে কাদের সমর্থন আর ভোট পেয়ে উনি বিধায়ক হয়েছেন। দেখিয়ে দিলাম এটাও যে, এই জমায়েতকে উপেক্ষা করলে আর ওনার ভোটে জেতা হবেনা।” জানালেন মুনমুনের অনুগামী এক যুব নেতা।
পরিস্থিতি অবশ্য বলছে ভোট পর্যন্ত প্রদীপকে যেতে দিতেই নারাজ প্রদীপ বিরোধী শক্তি। আর সেই দিকে লক্ষ্য রেখেই একের পর এক আন্দোলনের, জমায়েতের সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন মুনমুনরা। শহরের উত্তরে যেমন তিনি দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন তেমনই দক্ষিনের সমর্থনে পেয়ে গেছেন রবিশঙ্কর পান্ডেকে যে রবিশঙ্কর জানিয়ে দিয়েছিলেন, ২৬তারিখেই দেখা যাবে কমিটির আসল রূপ।

রবিশঙ্কর পান্ডের সেই প্রত্যয়ের ঠিকানা সত্যি সত্যি মিলেছে এদিন। চূড়ান্ত দুর্যোগের দিনেও যে জমায়েত মুনমুন রবিশঙ্কররা করেছেন তা তাঁদের জন্য যথেষ্ট আশাব্যঞ্জক। রবিশঙ্কর আজ নিজে ছিলেননা বটে কিন্তু তার অনুগামীরাও ভরিয়ে দিয়েছে এই জমায়েত। রবি নিজে জানিয়েছেন, ‘ কর্মসূচি স্থগিত করা হচ্ছে জেনেই আর যাইনি।’
আজকের জমায়েত শুধুই প্রদীপকে দেখানোর জন্য নয়, নিজের নতুন জোট ও সমীকরণের ক্ষমতাটাও নিজের দরকার ছিল। সেই সমীকরণের নাম রবিশঙ্কর পান্ডে। মুনমুনের সঙ্গে আশিস সেনগুপ্ত, অপূর্ব ঘোষ, তুষার চৌধুরীরা তো ছিলেনই কিন্তু ছিলেননা রবিশঙ্কর পান্ডে অন্তত বাইরের প্রকাশে।

আজ সেই রবিশঙ্করকে হাতে কলমে পেয়েই গেলেন মুনমুন। “এই দুর্যোগের দিনে, যেখানে মোবাইলে ফোন করে দিয়েই কর্মসূচিটা স্থগিত করা যেত, যেখানে অজুহাত হিসাবে জেলা সভাপতির নির্দেশটাই যথেষ্ট ছিল বাড়িতে বসেই কর্মসূচিটা বাতিল করার সেখানে ময়দানটাকেই কর্মসূচি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়ে মুনমুন রাজনৈতিক কৌশলে ফের একধাপ এগিয়ে থাকলেন।

RELATED ARTICLES

Most Popular