Homeএখন খবরকরোনা কালে ৮ মাসে ৩বার রক্তদান শিবির! থ্যালাসেমিয়া আক্রান্তদের জন্য বেনজির উদ্যোগ...

করোনা কালে ৮ মাসে ৩বার রক্তদান শিবির! থ্যালাসেমিয়া আক্রান্তদের জন্য বেনজির উদ্যোগ খড়গপুর রেসকিউ ফাউন্ডেশনের

নিজস্ব সংবাদদাতা: করোনা কালে বিভিন্ন রাজ্য থেকে খড়গপুর শহরে পেশার জন্য আটকে পড়া ৭০০ যুবককে ৫০দিনেরও বেশি রান্না করা খাবার পরিবেশন করে খড়গপুরকে ভারতগর্ব হিসাবে পরিচিতি দিয়েছিল খড়গপুর রেসকিউ ফাউন্ডেশন। সেই রেসকিউ ফাউন্ডেশনের আরও একটি উদ্যোগ থ্যালাসেমিয়া আক্রান্তদের পরিবারগুলির মুখে হাসি ফুটিয়ে চলেছে আজও।

করোনা কালে সবকিছু থমকে গেলেও থমকে যায়নি সেই সব শিশু কিশোরদের রক্তের চাহিদা যারা ওই দুরারোগ্য ব্যাধির কবলে অতি দ্রুত হারিয়ে ফেলতে থাকেন বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় সেই অমূল্য লাল অমৃতস্রোত। তাই কয়েকমাস ছাড়াই তাদের প্রয়োজন হয় রক্তের। কিন্তু করোনাকাল এমনকি এই নিউ নর্মাল সময়েও রক্তদান শিবিরের সংখ্যা বড়ই কম, বিশেষ করে চাহিদার তুলনায়।

সেই দিকে নজর রেখেই ৮ মাসের মধ্যে তৃতীয় রক্তদান শিবিরটি করে ফেলল খড়গপুর রেসকিউ ফাউন্ডেশন। শুক্রবার ফাউন্ডেশনের কৌশল্যা দপ্তরে করোনাকালের সেই তৃতীয় রক্তদান শিবিরে১মহিলা সমেত রক্তদান করলেন ৪৩জন রক্তদাতা। ব্ল্যাড ব্যাঙ্কের মাধ্যমে এই রক্ত দেওয়া হবে ওই সমস্ত আক্রান্তদের।

সংগঠনের কর্ণধার স্বাগত খাঁড়া জানিয়েছেন, “গত জুলাই মাসের ৬ ও ৯ তারিখ পর পর আমরা দুটি শিবির করেছি কারন ওই সময় সর্বত্রই শিবিরের পরিণাম কমে গিয়েছিল ফলে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্তদের পরিবারগুলি আমাদের কাছে বারংবার আবেদন জানায়। এখন ধিরে ধিরে অনেক জায়গায় শিবির হচ্ছে তাই চাপ কিছুটা কমেছে। তবুও কয়েকটি পরিবার আবার আমাদের কাছে রক্ত চেয়ে আবেদন করে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এই শিবির আয়োজন করা হয়েছিল। আমরা খুশি যে মানুষ আমাদের আবেদনে সাড়া দিয়ে বারংবার রক্ত দিতে এগিয়ে এসেছেন।”

নেশা নিরাময় এবং নিরাময় উত্তর জীবনে বিকল্প পেশার সন্ধান দিয়ে খড়গপুর শহর ছাড়াও তার আশেপাশের এলাকায় শত শত মানুষকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে এনেছে খড়গপুর রেসকিউ ফাউন্ডেশন। আর তারই পাশাপাশি চলছে অন্য বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর এই মহৎ উদ্যোগ। মাত্র ৬বছর বয়সে ৫টি রক্তদান শিবির সংগঠিত করেছেন তাঁরা।

RELATED ARTICLES

Most Popular