নিজস্ব সংবাদদাতা: নিয়মিত কাজ ও নিয়মমত বেতন সহ একগুচ্ছ দাবি নিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুর বনবিভাগের সদর দপ্তরে বিক্ষোভ দেখালেন অস্থায়ী বনকর্মীদের শাসকদলের ইউনিয়নের অন্তর্গত অস্থায়ী বনকর্মীদের সংগঠন পশ্চিমবঙ্গ অস্থায়ী বন মজদুর ইউনিয়ন। পূর্ব অনুমোদন নিয়েই নিজেদের দাবি দাওয়া পেশ করতে গিয়ে বাধা পেয়ে সদর দপ্তরের সামনের গেটের তালা ভেঙে ঢুকতে হয়েছে তাঁদের এমনই অভিযোগ জানালেন অস্থায়ী বনকর্মীরা। গেটের তালা ভাঙার পাশাপাশি ভাঙা হয় বেশকিছু মাটির টব, এমনকি টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ছুটে আসতে হয় পুলিশকে।
ক্ষুব্ধ ওই অস্থায়ী বনকর্মীরা জানিয়েছেন, আগে থেকেই আজকের ডেপুটেশনের নির্ঘন্ট ঠিক হয়েছিল। বনদপ্তরের সূত্রেই জানানো হয়েছিল মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে ৩টার মধ্যে এসে দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার বা DFO কে নিজেদের দাবিদাওয়া জানাবেন ওই কর্মচারীরা। এক অস্থায়ী বনকর্মী জানিয়েছেন, বন বিভাগের পক্ষ থেকেই আমাদের সময় দেওয়া হয়েছিল। সেই মত তাঁরা এসেছিলেন।
কিন্তু এসেই অবাক। বনবিভাগের মূল ফটকেই লাগানো রয়েছে দু’দুটো তালা। বনকর্মীদের বক্তব্য, প্রথমে আমরা ওখান থেকেই ভেতরে থাকা কর্মীদের ডাকার চেষ্টা করি। কিন্তু কারুরই সাড়া পাইনি তখনই বুঝতে পারি আমাদের আটকানোর জন্যই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাধ্য হয়ে তালা ভেঙেই ভেতরে ঢুকি আমরা।’
বনকর্মীরা জানিয়েছেন গত দুদশকেরও বেশি সময় অস্থায়ী হিসাবে কাজ করে চলেছেন তাঁরা। বর্তমান মজুরি দিনে ২৬০টাকা কিন্তু ১০/১৫দিনের বেশি কাজ দেওয়া হয়না। বছরের পর বছর কাজ করার পরও অনেককে ছাঁটাই করা হয়। সময় মত বেতন মেলেনা। হাতি তাড়াতে গিয়ে বা অন্য কোনোও ভাবে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলে কোনো ক্ষতিপূরণ নেই আলাদা করে।
তাঁরা দাবি করেছেন, মাসে ৩০দিনই কাজ দিতে হবে। কোনও কর্মীকে ছাঁটাই করা যাবেনা। ইতিমধ্যেই ছাঁটাই হওয়া কর্মীদের ফেরাতে হবে ইত্যাদি ইত্যাদি। উত্তেজিত বনকর্মীরা বেশকিছু টব ভাঙচুর করে। আগুন লাগানো হয় টায়ারে। পদস্থ এক পুলিশ আধিকারিক তাঁদের সঙ্গে বন আধিকারিকের মিটিংয়ের ব্যবস্থা করবেন এই আশ্বাস পেয়ে প্রত্যাহৃত হয় বিক্ষোভ।