Homeএখন খবরপুলিশের তাড়ায় মায়ের ভোগ ফেলে পালাল মানুষ, মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পেল আয়োজক

পুলিশের তাড়ায় মায়ের ভোগ ফেলে পালাল মানুষ, মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পেল আয়োজক

নিজস্ব সংবাদদাতা: তিরুপতি, কালীঘাট, কামাখ্যা মায়ের মন্দির অবধি বন্ধ। দেশজুড়ে ১০হাজার ছোটবড় মন্দিরে তালা পড়েছে করোনা ভীতিতে। গন জমায়েত এড়াতে বন্ধ হয়ে গেছে ৫০বছর ধরে চলা শত শত দেব দেবীর মেলা। কিন্তু তারপরেও হুঁশ ফেরেনি অনেকের। এরকমই একজন খড়গপুর শহরের এক জমি কেনাবেচার কারবারির। তাঁর ভাই নাকি মুহুরীর কাজ করেন আর সেই সুবাদে খড়গপুর শহর থানায় তাঁর নিত্য যাতায়াত। সেই জন্যই লক ডাউনকেও থোড়াই পরোয়া করেননা তিনি। আর তাই লকডাউন উপেক্ষা করেই নিজের বাড়িতে কালিপুজো উপলক্ষ্যে রীতিমত ৬০০জনের পাত পেতে ‘মায়ের ভোগ’ খাওয়ার ব্যবস্থা! প্রতিবেশিদের কেউ কেউ আপত্তি করলে তিনি নাকি বলেছিলেন, পুলিশও তাঁর বাড়িতে ভোগ খেতে যাবে।

মঙ্গলবার দুপুরের ঘটা করে মণ্ডপ সাজানো সেই গন আহারের জায়গার খবর পেয়েই ছুটে গেল পুলিশ। খোদ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খড়গপুর) কাজী সামসুদ্দিনের নেতৃত্বে পুলিশের বাহিনী পৌঁছাতেই মাথায় উঠল মায়ের ভোগ। পড়ে রইল বাসমতি চালের ভাত, সোনা মুগের ডাল, পনীর দিয়ে তৈরি তরকারি, চাটনি, মিষ্টি , পাঁপড়। জানা গেছে, জমির কারবার করে দু’পয়সা কামানো খড়গপুর শহরের সুভাষপল্লীর বাসিন্দা গৌতম মহন্ত প্রতিবছরই নিয়ম করে এই পুজো আর মায়ের ভোগের ব্যবস্থা করে থাকেন। সত্যি সত্যি পুলিশ ও ছোট বড় নেতারা হাজির হন মায়ের ভোগ খেতে। এবারেও তিনি তাঁর মুহুরী ভাইকে দিয়ে যখন পুলিশ কর্মীদের নেমতন্ন করেন তখন কেউ তাঁকে সতর্ক করে দেননি। এমনকি সোমবার খড়গপুর শহরে লকডাউন ঘোষনার পরেও তাঁকে সতর্ক করেনি কেউ। আর সে কারনেই প্রতিবেশিদের কেউ কেউ আপত্তি করলেও কথাই শুনেননি তিনি।

এদিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গনভোজের খবর পেয়েই নিজস্ব বাহিনী নিয়ে সুভাষপল্লী পৌঁছতেই পুলিশের রুদ্রমূর্তি দেখেই এঁটো হাতে পড়িমরি করে দৌড় দেয় খেতে বসা মানুষ। বিজেপির এক মণ্ডল সভাপতিকেও হাজির থাকতে দেখা গেছিল ভোজে তবে পুলিশ আর সাংবাদিক দেখেই বোধহয় উল্টো সুর গেয়ে তিনি জানান যে, তিনি বিষয়টা দেখতে এসেছিলেন, খেতে নয়। পুলিশ মহন্ত কে থানায় তুলে নিয়ে আসলেও পরে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান তিনি। এদিন লকডাউন ভাঙার অপরাধে খড়গপুর থেকে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

RELATED ARTICLES

Most Popular