নিজস্ব সংবাদদাতা: শুক্রবার খুবই ভাল দিন গেল খড়গপুরের, জানা গেছে করোনা আক্রান্ত ও চিকিৎসাধীন খড়গপুর পুরসভার বিদায়ী ভাইস চেয়ারম্যানের পরিবারের ৫ সদস্যই সম্মানে উৎরে গেছেন করোনা পরীক্ষায়। এরই পাশাপাশি বৃহস্পতিবার আরও যে ৯২ জন করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দিয়েছিলেন যারমধ্যে প্রায় ৪৫ জন পাঁচবেড়িয়া এলাকার, ৭জন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খড়গপুরের দেহরক্ষী বাহিনী, ২০ জন দমকলকর্মী ছিলেন তাঁদের প্রত্যেকেই নেগেটিভ এসেছেন।
বৃহস্পতিবারই নেগেটিভ এসেছিল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী সামসুদ্দিন আহমেদের। এবার তাঁর দেহরক্ষীদেরও করোনা নেগেটিভ আসায় অনেকটাই আস্বস্ত পুলিশ মহল। অন্যদিকে সেক হানিফের স্ত্রী, মামাত ভাই, ছেলে, পরিচারিকা ও পারিবারিক আরও এক সদস্য নেগেটিভ হওয়ায় হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন বিদায়ী চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক প্রদীপ সরকার, খড়গপুরের মহকুমা শাসক বৈভব চৌধুরী, ২০জন কাউন্সিলর। হানিফ আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়ার পরই এঁরা কোয়ারেন্টাইনে চলে যান। অনেকেই মুষড়েও পড়েন কারন এঁরা সবাইই হানিফের ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে ছিলেন। শুক্রবার রাতে ফলাফল আসায় ফের চাঙ্গা হয়ে উঠেছেন তাঁরা।
এদিকে রবিবারের বদলে শনিবারই করোনা পরীক্ষায় বসতে চলেছেন কোয়ারেন্টাইনে যাওয়া বিধায়ক, মহকুমা শাসক প্রমুখ কোয়ারেন্টাইনে যাওয়া প্রায় ৩০জন। প্রথমে ঠিক হয়েছিল নুমনা সংগ্ৰহ করা হবে কিন্তু শুক্রবারই ঠিক হয় দেরি না করে শনিবারই নমুনা দেবেন এঁরা। হয়ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও তাঁর দেহরক্ষীরা , হানিফের পরিবার নেগেটিভ রেজাল্ট আসায় মনোবল ফিরে পেয়েছেন অনেকেই। আশা করা যাচ্ছে এঁরাও নেগেটিভ হবেন আর হাঁফ ছেড়ে বাঁচবে খড়গপুর।
শুক্রবারই মেদিনীপুর ও খড়গপুরে কয়েকটি কর্মসূচিতে অংশ নিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ এই গোটা দলটিকে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, খড়গপুরকে করোনা হাব বানিয়েছেন এঁরাই। তারই জবাব দিতে এঁদের নেগেটিভ আসাটা খুবই জরুরি।