ওয়েব ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবসে পতাকা উত্তোলনকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র হুগলির খানাকুল। পতাকা উত্তোলনকে ঘিরে এলাকার বিজেপি নেতৃত্বের সাথে শাসকদলের কর্মীদের বচসা বাঁধে, শেষ পর্যন্ত তা গড়াল খুনোখুনিতে। দুপক্ষের হাতাহাতির মাঝেই ধারালো অস্ত্রের কোপে খুন হলেন স্থানীয় বিজেপি নেতা সুদাম প্রামাণিক। ঘটনায় অভিযোগের তির স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দিকে৷ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার সকাল থেকেইতুমুল উত্তেজনা খানাকুলের নতিপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়।
জানা গিয়েছে, খানাকুলের নতিপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় এদিন একই জায়গায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের আয়োজন করে তৃণমূল, বিজেপি দুপক্ষই। কোন দল প্রথম পতাকা উত্তোলন করবে এই নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই তা হাতাহাতির রূপ নেয়। সেই সময়ই খুন হন এলাকার বিজেপি সদস্য। এ ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি চলাকালীন আচমকা জেলা পরিষদের বিজেপি সদস্য সুদাম প্রামাণিকের উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে কয়েকজন যুবক। এরপরি তাঁর মাথায় সজোরে আঘাত করা হয়। ঘটনার পর রক্তাক্ত অবস্থায় দ্রুত ওই বিজেপি সদস্যকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এরপরই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। পরিস্থিতি ক্রমশ হাতের বাইরে চলে যায়। খুনের পিছনে শাসকদলই জড়িত এই অভিযোগে নিহত বিজেপি নেতার দেহ নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে তাদের ঘিরেও বেশ কিছুক্ষণ চলে বিক্ষোভ। এর জেরে শনিবার সকালে রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। পুলিশ তা নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে বিজেপি নেতাকে খুনের অভিযোগ একেবারেই অস্বীকার করেছে হুগলি জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব