নিজস্ব সংবাদদাতা: ৫৪ থেকে সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়াল ১১৫ জনে, আরও কতজনকে কোয়ারেন্টাইন করা দরকার তা নিয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছে রেল এবং খড়গপুর পুলিশ। প্রথমে খড়গপুরে যে ১৮ আরপিএফ জাওয়ানকে কোয়ারেন্টাইন করা হয় ২১তারিখ তারই মধ্যে ৬ জনের অন্য আরও ১০ যে জওয়ানকে বিভিন্ন স্থানে কোয়ারেন্টাইন করা হয় তার মধ্যে ৩জন করোনা পজিটিভ ধরা পড়ায় উদ্বেগ বাড়ছে রেলের কারন এই ২৮জন সরাসরি অস্ত্র আনতে দিল্লি এবং রাজস্থান গেছিল ঠিকই কিন্তু ফিরে আসার পরে তাঁদের সংগে ঠিক কতজন মেলামেশা করেছিল তা নিয়ে ধন্দে রেল।
এদিকে ৬ জওয়ানের পজিটিভ ধড়ার পর বৃহস্পতিবারেই আরও ৩৫ জনকে কোয়ারেন্টাইনে নেওয়ার পর সংখ্যাটা ৫৪ দাঁড়িয়েছিল, শুক্রবার সেই সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ১১৫ তে। রেলের কর্তারা জানিয়েছেন, দিল্লি ও রাজস্থান থেকে আনা অস্ত্র যারা ব্যবহার করেছিল এবং ওই জওয়ানদের সংগে যারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সংস্পর্শে এসেছিলেন তাঁদের প্রত্যেককেই চিহ্নিত করে কোয়ারেন্টাইন করা হচ্ছে তাই সংখ্যাটা বাড়ছে। এখানে প্রশ্ন উঠছে, রেল দাবি করছে যে, ১৪ তারিখ দিল্লি থেকে খড়গপুরে নামার পরেই তাঁদের কোয়ারেন্টাইন করা হয় যদি তাই হয় তবে এখন কোয়ারেন্টাইনের সংখ্যাটা এত বাড়ছে কেন?
একটি সূত্র দাবি করছে দিল্লি থেকে ফেরার পরই ২৮ জওয়ানকে কোয়ারেন্টাইন করা হয়নি। বরং তাঁরা যেখানে যেখানে পোস্টিং সেখানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এরমধ্যে ১৮ জন খড়গপুর এবং ১০জন উলুবেড়িয়া, সাঁতরাগাছি, ঝাড়গ্রাম, বালেশ্বরে নিজ নিজ কাজের জায়গায় চলে যায়। বালেশ্বরে যিনি গিয়েছিলেন তাঁকে ওড়িশা সরকার কোয়ারেন্টাইন করে যেহেতু তিনি পশ্চিমবঙ্গ থেকে গেছিলেন। তাঁরই প্রথম কোভিড পজিটিভ ধরা পড়লে টনক নড়ে রেলের। এরপরই ২১ তারিখ সবাইকে কোয়ারেন্টাইন করা হয়। ওই যুক্তিতে বলা হয়েছে যদি ফেরার সাথে সাথে কোয়ারেন্টাইন করা হবে তবে জওয়ানদের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়তে দিল কেন রেল? বরং ১৪থেকে ২০ তারিখ অবধি কোয়ারেন্টাইন না করাতেই সমস্যা বেড়েছে। এখন খুঁজতে হচ্ছে এবং সংখ্যাটা বেড়েই চলেছে।
রেল অবশ্য বলছে তারা ১৪ তারিখই সবাইকে কোয়ারেন্টাইন করেছিল। ওই দিন জওয়ানরা ফিরে অস্ত্র নিয়ে অফিসে অস্ত্রাগারে যায়। সেই অস্ত্র নামানোর কাজে অন্য জওয়ানরা সাহায্য করেন। এরপর তাঁরা পুরানো বাজার সংলগ্ন ব্যারাকে যান, স্নান করেন, তারপর খেতে যান ট্রাফিকের মেসে। সন্ধ্যায় এঁদের কোয়ারেন্টাইন করা হয়। এরমধ্যে যারা এঁদের সংস্পর্শে এসেছেন, অস্ত্র ধরেছেন তাঁদের এখন খুঁজে বের করে কোয়ারেন্টাইন কর হচ্ছে। শুক্রবার ট্রাফিকের মেসটি সিল করে দিয়েছে পুলিশ।