নিজস্ব সংবাদদাতা: খড়গপুর শহরের অন্যতম বরিষ্ঠ নেতা দেবাশিস চৌধুরী তথা মুনমুনের ওয়ার্ডে ভাল ব্যবধানে তৃণমূলের হার হয়েছে আর এই হারকে খুব ছোট আকারে দেখতে রাজি নয় জেলার তৃনমূল নেতারা। কারন প্রথম থেকেই তৃণমূলের আশংকা ছিল যে দলের তরফে প্রদীপ সরকারকে প্রার্থী করা মেনে নিতে পারেননি মুনমুন। আর সে কারনেই তাঁর ওয়ার্ডে তিনি প্রচারই করেননি ঠিক মত।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
যদিও মুনমুনকে ভোটের সময়ে প্রচার করতে দেখা গিয়েছে তবুও ভোটের দিন তাঁকে কার্যত পার্টি অফিসেই বসে থাকতে দেখা যায় সারাদিনই। কেন তাঁকে সারাদিনই পার্টি অফিসেই বসে থাকতে হয়েছিল এ নিয়ে একটি ধারনাও ছড়িয়েছিল যে তাঁকে নজরবন্দি অবস্থাতে রাখা হয়েছিল কারন তিনি বুথে বুথে ঘুরলে ভোটারদের প্রভাবিত করতে পারেন দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
২০১৫ সালে খড়গপুর পৌরসভা গঠনের সময়ে চেয়ারম্যানের অন্যতম দাবিদার মুনমুনকে বাদ দিয়ে প্রদীপ সরকারকে চেয়ারম্যান করা হয়েছিল তৎকালীন পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষের পরামর্শে। খড়গপুর শহরে প্রায় শুরুর সময় থেকেই তৃণমূলের একনিষ্ঠ সৈনিক হয়ে কাজ করে এসেছেন তিনি। ২০১১ পর্বে শুভেন্দু অধিকারীর হয়ে জঙ্গলমহল অবধি দাপিয়েছেন এই নেতা।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
জেলা যুবসংগঠন সামলেছেন কিন্ত ঘটনা সেই ভাবে দল তাঁকে জায়গা দেয়নি। দলীয় রাজনীতির সেই কুটিল আবর্তেই এবারও বঞ্চিত হয়েছেন বিধায়ক প্রার্থীপদ থেকে। সেই অভিমান থেকেই হয়ত বলেছিলেন, ” এবার ভাবার সময় হয়েছে।” সম্ভবত সেই কথাকে ধরেই দলে ঘুরেছে বিদ্রোহের গুজব। নিজের ওয়ার্ডয়ে পরাজয় সেই বিদ্রোহী তকমাকেই আরও ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দল দেখে কিনা সেটাই এখন দেখার।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
অবশ্য শুধুই মুনমুন নয়, পরাজয় এসেছে প্রদীপ সরকার ঘনিষ্ঠ সরিতা ঝা, সুনীতা গুপ্তা এবং একসময়ের ভাইস চেয়ারম্যান তথা প্রদীপ বিরোধী নেতা তুষার চৌধুরীর ওয়ার্ড থেকেও । তৃণমূলের এক জেলা নেতা জানিয়েছেন, ‘আগে ওয়ার্ড ভিত্তিক সমস্ত রিপোর্ট আসুক তারপরই আমরা পর্যালোচনায় বসব।