নিজস্ব সংবাদদাতা: আবেদন নিবেদন শেষে এবার স্বমূর্তি ধরলেন শুভেন্দু অধিকারী। রাজনৈতিক শিষ্টাচারের বাইরে গিয়ে সদ্য বিজেপিতে ফিরে যাওয়া খড়গপুর পৌরসাভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল তথা ২৫নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরকে হুমকি দিলেন দেখে নেওয়ার। মঙ্গলবার খড়গপুর সদর বিধানসভা উপ নির্বাচনের তৃনমূল প্রার্থী প্রদীপ সরকারের সমর্থনে প্রচার করতে এসে নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্য মন্ত্রীসভার সদস্য শুভেন্দু অধিকারী শহরের কৌশল্যা এলাকার সভায় জানিয়ে দিলেন ২৮তারিখের পর হিসাব মিলিয়ে নেবেন।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
উল্লেখ্য ২৮নভেম্বর বিধানসভার ফল ঘোষনা হবে। মুখ্যমন্ত্রী অধিকারীকে খড়গপুর উদ্ধারের দায়িত্ব দিয়েছেন। আর বিজেপির হাত সেই খড়গপুর উদ্ধারের জন্য মাটি কামড়ে পড়ে রয়েছেন। একাধিক পদযাত্রার পাশাপাশি করছেন জনসভা। দিনের শেষে প্রতিদিনই মিলিয়ে নিচ্ছেন দলের অগ্রগতি। আর সম্ভবত সেই অগ্রগতি মেলাতে গিয়েই শুভেন্দু অধিকারী বুঝে গিয়েছেন খড়গপুর উদ্ধার অত সহজকাজ নয় , হয়ত বা অসম্ভবও।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
ইতিমধ্যেই খড়গপুরে এসে বিজেপি নেতা মুকুল রায় বলে গিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী যেখানেই দায়িত্ব নিয়েছেন সেখানেই তার দল হেরেছে। শুভেন্দু কি সেই পরাজয় দেখতে পাচ্ছেন? ঘটনা এটাই যে শুভেন্দু অধিকারী ততক্ষনই শান্ত ও বিনীত ভাষায় কথা বলেন যতক্ষন পরিস্থিতি তাঁর নিয়ন্ত্রনে থাকে। নিয়ন্ত্রন হারিয়ে গেলেই তিনি উগ্র মেজাজি হয়ে ওঠেন। নিজের জেলা ছাড়াও মুর্শিদাবাদ, মালদাতে এ নজির ভুরি ভুরি।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
ঘটনা এটাই যে প্রচারের প্রথম দিকে বিজেপির থেকে এগিয়ে ছিল তৃনমূল। জয় যেন অনায়াস মনে হচ্ছিল। কিন্তু বিজেপি ক্রমশ তুঙ্গে তুলেছে প্রচার। প্রচারের বন্যায় এখন দু’দলই হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে। কিন্তু এটাই যথেষ্ট নয় শুভেন্দুর স্নায়ুচাপের জন্য। এর বাইরেও দুটো আলাদা ফ্যাক্টর কাজ করছে। যা অভিজ্ঞ মন্ত্রীর ভ্রূণ কুঁচকে দিয়েছে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
প্রথমত: বিজেপির বিদ্রোহী প্রার্থী প্রদীপ পট্টনায়ক যাঁকে মনে করা হয়েছিল বিজেপির ভোটে ফাটল ধরাবে। যে কারনে শুভেন্দুই তাঁকে আসল বিজেপি বলে বাজারে চালাতে চাইছিলেন সেই প্রদীপ এখন নিষ্প্রভ। ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই পাট্টনায়কের সঙ্গে থাকা সমর্থন বিজেপির মুল ঘরে অর্থাৎ প্রেমচন্দ্র ঝা য়ের পকেটে ফিরছে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
দ্বিতীয়ত তৃণমূলের অভ্যন্তরের কোন্দল একই জায়গাতে দাঁড়িয়ে আছে। বিবাদমান গোষ্টির নেতাদের মুখ সামনে আনা গেলেও তাঁদের অধিনে থাকা কর্মীরা দারুন নিস্পৃহ। লোক দেখানো নাড়াচাড়া করলেও তলায় তলায় জল গড়াচ্ছে অন্য শিবিরে। জলের মত টাকা খসছে বটে কিন্ত মারাত্মক ‘ স্যবোটেজ’ য়ের লক্ষণ স্পষ্ট উপলব্ধি করছেন নেতা। মেদিনীপুর , ডেবরা , নারায়নগড়ের নেতা কর্মী এনে পদযাত্রায় ভিড় হয়ত বাড়ানো যায় কিন্ত ভোট তো আর বাড়ানো যায়না।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
তৃণমূলের বোর্ড গঠনের জন্য পুলিশ মাফিয়া আর টাকার জোরে যে বিজেপি কাউন্সিলররা তৃণমূলে গেছিলেন তাঁদেরই একজন বেলারানী অধিকারী। সম্প্রতি ঘরে ফিরেছেন তিনি। শুভেন্দু জনসভায় জনগণকে বললেন, ” উনি আমাদের সঙ্গে এসে সেদিন আপনাদের প্রতি বিশ্বাস ঘাতকতা করেছিলেন। কিসের বিনিময়ে করেছিলেন সব ফাঁস করে দেব।”
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
কিন্ত মানু্ষের পাল্টা প্রশ্ন, বেলারানীকে বিশ্বাসঘাতকতার পথ দেখাল কারা? না, শুধুই বেলারানী কেন বিজেপি, বামফ্রন্ট আর কংগ্রেস থেকে যাওয়া প্রায় ১৫জন কাউন্সিলরকেই এই জবাব দিতে হবে। দিতে হবে এই ভোটেই। সে দিক থেকে বেলারানী বরং বোধহয় বেঁচেই গেলেন। অভিজ্ঞ শুভেন্দু সবই বুঝতে পারছেন, স্নায়ুর চাপ এমনি এমনি বাড়েনা । বিশেষ করে জায়গা যেখানে খড়গপুর ।