Homeএখন খবরঅ-প্রতিদ্বন্দ্বী মাস্টারমশাই, বাধ্য ছাত্রের দল শুরু করে দিয়েছে স্ক্রুটনি আর দেওয়াল...

অ-প্রতিদ্বন্দ্বী মাস্টারমশাই, বাধ্য ছাত্রের দল শুরু করে দিয়েছে স্ক্রুটনি আর দেওয়াল লিখন

নিজস্ব সংবাদদাতা: চাচার ফর্মুলা মেনেই ওয়ার্মাপ শুরু করে দিয়েছে কংগ্রেস। আর সেই ফর্মুলা হল প্রথমে দেওয়ালের দখল নাও আর স্ক্রুটনি শুরু কর। কারন নাম না ঘোষনা হলেও এগুলো করা যায়। তাই দিল্লি কিংবা কালীঘাটের ভরসায় যখন তৃণমূল বিজেপির কর্মীরা নাম ঘোষনার অপেক্ষায় স্টার্টআপে থমকে তখন দৌড় শুরু করে দিয়েছে খড়গপুর টাউন কংগ্রেস। নাম ছাড়াই প্রতীক দিয়ে দেওয়াল লেখার পাশাপাশি শুরু হয়ে গেছে বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্ক্রুটনি আর প্রতিদিনই নিয়ম করে গোলবাজারে চাচার অফিসে নির্বাচন কমিটির বৈঠক।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
মঙ্গলবার ১৪নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা খড়গপুর পৌরসভার বিরোধী দলনেত্রী রিতা শর্মার বাড়িতে বসে ‘মাস্টারমশাই’ য়ের যাবতীয় কাগজপত্র খুঁটিয়ে দেখেছেন জেলা কংগ্রেস নেতা দেবাশিস ঘোষ সহ নির্বাচনি কমিটি। বুধবার তাই নিয়ে পর্যালোচনা মিটিংও সেরে ফেলেছেন খড়গপুর শহর নির্বাচনি কমিটি। সেখানে পুরো কমিটিই ক্ষোভ উগরে দিয়েছে বিধানসভার পরিষদীয় নেতা আবদুল মান্নানের প্রতি।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
জেলা কংগ্রেসের সাধারন সম্পাদক দেবাশিস ঘোষ বলেন, ” মমতা ব্যানার্জীর প্রিয় হওয়ার জন্য ও পরবর্তী নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিট পাওয়ার জন্য দালালি করছেন উনি। খড়গপুর কংগ্রেস ওই দালালি মানছেনা। আমরা ফোনে ওনাকে যা বলার বলে দিয়েছি আর আমাদের নেতা অধীর চৌধুরীকেও জানিয়ে দিয়েছি যে  চাচার আসন খড়্গপুরকে আমরা ফের এআইসিসিকে উপহার দিচ্ছি।”

যেখানে গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে দীর্ণ বিদীর্ন দুই প্রধান দল তৃণমূল বিজেপি, দুই নয়, দুইয়ের অধিক দাবিদার প্রার্থী পদকে ঘিরে। বিজেপি এবং তৃণমূলের তালিকা বাছতে গিয়ে দুই দলেরই নেতৃত্বকে ভাবতে হচ্ছে কাকে দাঁড় করালে কে পেছন থেকে ছুরি মারবে, কোনপক্ষের ছুরি কত কম ধারালো হবে ইত্যাদি ইত্যাদি।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
বিজেপির তালিকায় প্রেমচাঁদ ঝা, শমিত দাস , গৌতম ভট্টাচার্য অন্যদিকে তৃণমূল তালিকায় দেবাশিস চৌধুরী, প্রদীপ সরকার , রবি শংকর পান্ডে। খালি কংগ্রেসরই এক নাম ‘ মাস্টারমশাই’ চিত্তরঞ্জন মন্ডল। খড়গপুর টাউন কংগ্রেসের কাছে মাস্টারমশাই দ্য বেস্ট । এখানেই অ-প্রতিদ্বণ্দ্বী তিনি।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
ঠিক চাচার মতই প্রাক্তন এই শিক্ষক কুটিল রজনীতির বাইরে দাঁড়িয়ে দলের মধ্যে অজাতশত্রু। খড়গপুর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানের কক্ষে তাঁকে যেমনটা দেখা যেত তেমনই সর্বদা সদা স্মিত হাস্য মানুষটি  কংগ্রেস সিপিএম তৃণমূল কিংবা বিজেপি কার পছন্দের নয় ? এমনই অ-প্রতিদ্বণ্দ্বী চরিত্র শক্তি জোগাচ্ছে কংগ্রেস কর্মীদের। আর এখান থেকেই দৌড়টা শুরু করে দিয়েছে কংগ্রেস।

RELATED ARTICLES

Most Popular