নিজস্ব সংবাদদাতা: সোমবার কালীঘাট থেকে খালি হাতেই ফিরলেন খড়গপুরের পাঁচ তৃনমূল নেতা। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার খড়গপুর শহর ক্ষেত্রের নাম চুড়ান্ত হলনা এদিনও। মাত্র মিনিট দশেকের আলোচনার পর মমতা ব্যানার্জী জানিয়ে দিয়েছেন ৩১শে অক্টোবরই তাঁর সিদ্ধান্ত ঘোষনা করবেন তিনি। কিন্তু ৫ তৃনমূল নেতাকেই পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন নাম যারই ঘোষনা করা হোক এক হয়ে কাজ করতে হবে সবাইকে। কোনও গ্রুপবাজি বরদাস্ত করবেননা তিনি।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
সোমবার কালীপুজোর পরের দিন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর সাথে গিয়ে নেত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন খড়গপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক পদের প্রধান দাবিদার প্রদীপ সরকার, শহর তৃণমূলের জনপ্রিয় নেতা দেবাশিস ওরফে মুনমুন চৌধুরী, উপ পৌরপিতা সেখ হানিফ, প্রাক্তন পুরপিতা ও প্রবীন তৃণমূল নেতা জহর পাল এবং আরেক প্রাক্তন পুরপিতা তথা প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা রবিশংকর পান্ডে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
যে তিনজনের নাম এদিন মূখ্যমন্ত্রীর কাছে পেশ করা হয়েছে তার মধ্যে প্রদীপ, দেবাশিস এবং রবিশংকর রয়েছেন। তালিকা অনুযায়ী দেবাশিস প্রথমে এবং রবিশংকর তৃতীয় স্থানে রয়েছে। ওয়াকিবহাল সুত্রের খবর সুকৌশলি এই তালিকা থেকে রবিশংকরকেই সামনে নিয়ে আসতে পারেন দিদি।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
এই একটি ক্ষেত্রে মমতা ব্যানার্জী তাঁর প্রাক্তন অনুগত পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষের নীতিই অনুসরন করতে পারেন যে নীতি অনুসরন করে খড়গপুর পৌরসভা নির্বাচনের পর চেয়ারম্যানের দুই প্রধান দাবিদার জহর ও দেবাশিসকে দুরে সরিয়ে রাজনীতিতে অর্বাচীন প্রদীপ সরকারকে তখতে বসিয়েছিলেন ভারতী ঘোষ।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
এমনিতেই খড়গপুর শহর বিধানসভা নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম শুভেন্দু অধিকারী পাঠিয়েছেন আগেই। এর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে টিম পি.কে বা প্রশান্ত কিশোরের দলের নিজস্ব পর্যালোচনা যা কিনা গত কয়েকদিন ধরে সংগ্রহ করেছেন। এই সমস্ত কিছু মিলিয়ে তিনটি সার বস্তু নেত্রীর বিবেচনাধীন। প্রথমত দেবাশিস চৌধুরী প্রার্থী হিসাবে দলগত ভাবে শহরের বেশি পছন্দের এবং শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডেই কমবেশি তাঁর নিজস্ব অনুগামী রয়েছে কিন্তু তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দী প্রদীপ সরকার ও তাঁর অনুগামীরা দেবাশিসকে কিছুতেই মানবেনা। প্রদীপের আওতায় থাকা প্রায় ১৫ জন কাউন্সিলর তলায় তলায় সিঁদ কাটবে।
প্রদীপ সরকারের কাউন্সিলের আধিক্য বেশি হলেও পুরোনো তৃণমূলিরা তাঁর চুড়ান্ত বিরোধী। চেয়ারম্যান থাকা কালীন সময়ে তাঁর সব অর্থে ফুলে ফেঁপে ওঠা যথেষ্টই দৃষ্টিকটু এঁদের কাছে। তাঁর সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে সরাসরি নালিশ রয়েছে দলের অভ্যন্তরে। আর শহরের যুব তৃণমূল সরাসরি প্রদীপ বিরোধী,এদের জোর করে ভোটের ময়দানে নামানো যেতেই পারে কিন্তু সেটা হিতে বিপরীত হবে।
রবিশংকর পান্ডে বছর দুয়েক কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে এসেছেন। দীর্ঘ প্রায় আড়াই দশকের চেয়ারম্যানের আমলে এমন বড়সড় কোনও দুর্নীতির অভিযোগ নেই যা নিয়ে শহর আন্দোলিত হয়েছে। কংগ্রেসে থাকাকালীন চাচা জ্ঞান সিংয়ের পর তিনিই ছিলেন বিধায়ক পদের দাবিদার। সমস্ত দলের সঙ্গে এবং তৃণমূলের সমস্ত গোষ্টির সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে। তিনি ভোটে দাঁড়ালে কংগ্রেসের একটি অংশের ভোট আসতে পারে তারদিকে। তবে তিনি দলে নতুন এটাই চিন্তার।
এই সব কিছু বিচার করেই নেত্রীর রায় আসবে বৃহস্পতিবার। সেদিকেই আপাতত তাকিয়ে থাকতে হবে খড়গপুর শহর তৃণমূলকে। প্রচণ্ড চাপে তৃণমূলের শহর নেতা এবং কর্মীরা । আর সে চাপ এতটাই যে প্রার্থী যেই হোক দলের নামে যে দেওয়ালগুলো ঘিরে রাখবে সেটাই ভুলে গেছে।