নিজস্ব সংবাদদাতা: প্রেম করে পালিয়ে বিয়ে কিন্তু সেই প্রেমের মেয়াদ টিকলনা ১০ মাস। আগুনে পুড়ে মৃত্যু হল এক তরুণী গৃহবধূর। আর ঘটনার পেছনে শ্বশুরবাড়ির হাত রয়েছে দাবি করে অভিযোগ দায়ের হল থানায়। অভিযোগ পণের দাবী মেটাতে না পারাতেই গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল মৃতার শরীরে। পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরের ওই ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও মৃতার পরিবারের অভিযোগ।
কেশপুর থানার সূত্রে জানা যায় ঘটনাটি কেশপুর ব্লকের গোবিন্দপুর এলাকার। রবিবার রাত আটটার কিছু পরে ওই গ্রাম থেকে উদ্ধার হয় সঙ্গীতা দোলুই খাঁ নামে ২০বছরের ওই গৃহবধূর দগ্ধ দেহ। মৃতার বাপের বাড়ির তরফে জানানো হয়েছে গত মাঘ মাসে কেশপুর বাজার এলাকার বাসিন্দা সঙ্গীতার মনোরঞ্জন খাঁ নামে এক যুবকের। বাড়ির অমতে দু’জনে প্রেম করে বিয়ে করে বলে পরিবার সূত্রে জানা যায়।
পরবর্তী সময়ে ছেলের বাড়ি মেনে নিলেও কিছু পনের দাবি করে কিন্তু, মেয়ের বাড়ির তরফে দাবী মতো সবটাই দিতে পারেনি। তবে কিছুটা নগদ টাকা ছাড়া কিছু সামগ্রী মেয়ের বাবা ও দুই ভাই মিলে জোগাড় করে দিয়েছিল। সঙ্গীতার বাপের বাড়ির অভিযোগ এরপরও অত্যাচার থামেনি। বিয়ের চারমাস পর থেকেই সমস্যা শুরু হয়। মেয়ে বাপের বাড়িতে চলে আসত সমস্যা হলেই। জামাই এসে ফের নিয়ে যেত ক্ষমা চেয়ে। সপ্তাহ তিনেক আগেও এরকম ঘটনা ঘটে এবং মনোরঞ্জন এসে ফের সঙ্গীতকে নিয়ে যায়।
মেয়ের দাদা কাশীনাথের অভিযোগ রবিবার রাতে হঠাৎই তাঁরা খবর পান যে তাঁর বোনের আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয়েছে এবং মৃতদেহ কেশপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাড়িতে এত মানুষ থাকতে কী করে একজন পুড়ে গেল? কাশীনাথ অভিযোগ করেন গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে পুড়িয়ে মারার পর ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে চালাতে চাইছে ছেলের বাড়ির লোকেরা।
ঘটনায় মনোরঞ্জন ও তাঁর মা, বাবা সহ সাতজনের নামে অভিযোগ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে। অপেক্ষা করা হচ্ছে ময়না তদন্তের রিপোর্ট এর জন্য। ঘটনা হত্যা বা আত্মহত্যা যাইহোক না কেন ঘটনায় পরিত্রাণ পাওয়া খুবই মুশকিল কারন বিয়ের মাত্র কয়েকমাসের মধ্যে গৃহবধূর আত্মহত্যা ঘটলেও আইন অনুযায়ী সেই আত্মহত্যার পেছনে প্ররোচনার ধারাটিও কম অপরাধ বলে বিবেচিত হবেনা।