নিজস্ব সংবাদদাতা: ঘাটাল, দাসপুর, চন্দ্রকোনার পর এবার প্লাবিত হল কেশপুরের বেশকিছু অংশ। নিচু এলাকা গুলিতে স্থানীয় নদী ও খাল গুলির জল উপচে পড়ে ঢুকতে শুরু করেছে নিচু এলাকায়। রাত ভর জল দাঁড়িয়ে থাকায় ভেঙে পড়েছে বেশ কিছু বাড়ি ঘর। বুধবার রাত সাড়ে ৯ টা নাগাদ এভাবেই একটি বড়সড় মাটির বাড়ি ভেঙে পড়ায় মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে বেশ কিছু গবাদি পশুর। ক্ষতির পরিমাণ লক্ষাধিক টাকা বলে দাবি করা হয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পক্ষ থেকে।
ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা কেশপুরের স্থানীয় ধলাহরা গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন পারুলিয়া গ্রামের দুই কৃষক ভাই পলাশ ও কুঞ্জ দোলাইয়ের পরিবার সূত্রে জানা গেছে। মঙ্গলবার রাত থেকেই জল ঢুকতে শুরু করেছিল এলাকায়। বুধবার রাতে হঠাৎই পরিবারের লোকেরা তাদের মাটির দোতলা বাড়িটির বিভিন্ন অংশে ফাটল দেখতে পায়। এরপরই তড়িঘড়ি করে পরিবারের সদস্যরা বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে। কিছুক্ষনের মধ্যেই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে বাড়িটি। ওই বাড়িরই একটি অংশে ছিল গোয়াল ঘর। বৃহস্পতিবার সকালে ভেঙে মাটির। দেওয়ালের চাঙড় সরিয়ে চারটি গরু ও কয়েকটি ছাগলের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
বাড়ির মালিক পলাশ দলুই জানিয়েছেন, ” কিছুদিন আগেই পাইকার এসে মৃত জোড়া বলদের দাম দিয়েছিল ৫৫হাজার টাকা কিন্তু আমরা জানতাম ওদের বাজার মূল্য অনেক বেশি তাই বিক্রি করিনি। অন্যদিকে গাই গরুটি ৫কেজি দুধ দিত। বাছুর সমেত তারও ৩০হাজার টাকা। এ ছাড়া ছাগল ছিল। সব মিলিয়ে এখানেই লাখ টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে আমাদের।”
কেশপুর ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে স্থানীয় তিনটি নদী পারাং তমাল, কুবাইয়ের জলে কলাগ্রাম বাঁশগেড়িয়া, চলকা, বসনচক, সরিষাখোলা, হাজিচক, আন্দিচক, গোটড়িয়া ইত্যাদি ১২টি মৌজার চাষের জমি প্লাবিত হয়েছে। জল বাড়ছে কাঁসাই নদীর। কোনও কারনে বাঁধ ভাঙলে বিশ্বনাথপুর এনায়েতপুর, ঝেঁতলা ইত্যাদি এলাকা প্লাবিত হয়ে যেতে পারে।