নিজস্ব সংবাদদাতা: মর্মান্তিক এক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশিয়াড়ীর এক যুবককের। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কেশিয়াড়ীর সদর থেকে প্রায় ৭কিলোমিটার দুরে বেলদা মুখী রাজ্য সড়কের ভীম মেলা চক নামক জায়গায়। রাতের অন্ধকারে কর্মক্ষেত্র থেকে বাড়ি ফেরার পথে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল কেশিয়াড়ীর যুবকের। বৃহস্পতিবার রাতে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে কেশিয়াড়ীর ভীম মেলা চক এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে মৃত যুবকের নাম দীপক দন্ডপাট,বয়স ৩০ বছর,বাড়ি কেশিয়াড়ীর থানার সাঁতরাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন মান্দার গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে দীপক একজন ডেকোরেটরের অধীনে বিভিন্ন অনুষ্ঠান বাড়িতে প্যান্ডেল বাঁধার কাজ করতেন। সেই কাজেই তিনি বেলদা গিয়েছিলেন। কাজ শেষ করে যখন বাড়ির উদ্দেশ্যে। তখন বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়। বেলদা-কেশিয়াড়ী রাস্তা যখন ধরেন তখন ভারি বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছিল। জানা গেছে ভীম মেলা চকের কাছে রাস্তার একপাশে দাঁড়িয়ে থাকে একটি মালবাহী লরির পেছনে সজোরে ধাক্কা মারেন দীপক।
স্থানীয়রা বলেছেন, একে অন্ধকার তায় ভারী বৃষ্টির কারণে ঝাপসা হয়ে থাকা রাস্তায় ওপরে লরিকে ঠাওর করতে পারেননি তিনি। এর আরও একটা কারণ হল দাঁড়িয়ে থাকা লরিতে নিয়মমাফিক পার্কিং লাইট ছিলনা। ফলে অন্ধকার আর বৃষ্টিতে মিশে গিয়েছিল লরিটি। দুর্ঘটনার পর বেশ কিছুক্ষণ ওখানেই পড়ে ছিলেন দীপক। আরও অনেক পরে রাস্তায় যাওয়া গাড়ি তাঁকে নজর করে স্থানীয় মানুষদের খবর দেয়।
এরপরই খবর যায় সিভিক পুলিশে। স্থানীয় জনতা ও পুলিশের উদ্যোগে দীপককে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন কেশিয়াড়ী গ্রামীন হাসপাতালের চিকিৎসক। যদিও দীপকের পরিবার অভিযোগ করেছে বালি গাড়ির ধাক্কাতেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। কারন কেশিয়াড়ী এলাকায় রাত বিরেতে বালি গাড়ির দৌরাত্ম্য লেগেই থাকে। পুলিশ নিজের মত করে তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশের ধারনা হেলমেট না পরাতেই এই দুর্ঘটনায় মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে। না হলে গুরুতর আহত হলেও হয়ত বেঁচে যেতে পারত দুই নাবালক সন্তানের বাবা দীপক।