নিজস্ব সংবাদদাতা: ৪৮ঘন্টার মধ্যেই কেশিয়াড়ির মহিলাকে ধর্ষন করে খুনের রহস্যের কিনারা করল পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে। পুলিশ জানিয়েছে ত্রিকোন প্রেমের জেরেই খুন করা হয়েছে মহিলাকে। এক ফুল দো মালির গল্পের দ্বিতীয় মালির সন্ধানে পুলিশ।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
উল্লেখ্য গত ২৫শে জানুয়ারি কেশিয়াড়ি ছাতারপুর রাঙ্গাটিয়া গ্রামের মাঠ থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল ৩২বছর বয়সী শকুন্তলা মল্লিকের নগ্ন দেহ। ফোন করে আগের দিন সন্ধ্যায় ডাকা হয়েছিল তাকে। আর বাড়ি ফেরেনি সে। পরের দিন তার শুধু নগ্ন দেহই উদ্ধার হয়নি, পুলিশ হতবাক হয়েগেছিল খুনের নৃশংসতা দেখে। সারা দেহে আঘাতের চিহ্নের পাশাপাশি নির্মমভাবে আঘাত করা হয়েছিল যৌনাঙ্গে। ক্ষত বিক্ষত করা হয় গোপন অঙ্গটিকে। তখুনি পুলিশের কাছে পরিষ্কার হয়ে যায় খুনের মোটিভ। পুলিশ অনুমান করে তীব্র ক্রোধ থেকেই মহিলাকে পাশবিক ভাবে খুন করা হয়েছে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
খড়গপুরের প্রতাপপুর গ্রামের বাসিন্দা শকুন্তলা স্বামীর সঙ্গে মনোমালিন্যের কারনে বাপের বাড়ি রাংটিয়াতে গত প্রায় ৬বছর ধরে ছিল। সঙ্গে তাঁর শিশুকন্যাটিও থাকত। শকুন্তলার এক আত্মীয়ের আভিযোগ ছিল বাপের বাড়িতে থাকার সময়ে পাশের গ্রাম চার গেড়িয়া বাসিন্দা তপন মান্নার সঙ্গে অবৈধ প্রণয়ে জড়িয়ে পড়ে সে এবং গত পাঁচ বছর ধরেই তাঁদের সম্পর্ক যথেষ্টই ঘনিষ্ট ছিল। এরপরই পুলিশ সম্পন্ন চাষি ও বিবাহিত তপনকে ধরতে জাল পাতে। তপন বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চাইলে তপনের ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়। ঘটনার সময় যে অর্থাৎ ওই দিন সন্ধ্যা থেকে তপন যে বাড়িতে ছিলনা তাও জানতে পারে পুলিশ। যে ফোন পেয়ে শকুন্তলা বেরিয়ে এসেছিল তাও পরীক্ষা করার পর রবিবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয় তপনকে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
পুলিশের এক আধিকারিক দাবি করেছেন যে দীর্ঘ জেরায় শেষ অবধি তপন ভেঙে পড়ে এই খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছে। সে এও জানিয়েছে যে, বেশ কিছুদিন ধরেই শকুন্তলা আরেক ব্যক্তির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল। তাকে বারংবার সেই সম্পর্ক ছেড়ে বেরিয়ে আসতে বললেও শকুন্তলা আড়ালে আবডালে প্রেম চালিয়েই যাচ্ছিল।
এখানে বিজ্ঞাপন দিন |
ঘটনার দিন শকুন্তলাকে বাড়ি থেকে ডেকে আনার পর দুজনে মিলেই প্রচুর মদ্যপান করে। এরপরই তৃতীয় ব্যক্তিকে নিয়ে দুজনের মধ্যে বচসা ও ঝগড়া ঝাটি হয়। মদের ঘোরে নিস্তেজ হয়ে যাওয়া শকুন্তলাকে খুন করার পর তাঁর যৌনাঙ্গ বিকৃত করে দেয় তপন।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
তপন জানায় প্রথমে তাঁর খুনের উদ্দেশ্য ছিলনা কিন্তু শকুন্তলা তাঁর দ্বিতীয় প্রেমের কথা ক্রমাগত অস্বীকার করায় তপনের মাথায় খুন চেপে যায় আর সে নিজেও মদের ঘোরে থাকায় হিতাহিত জ্ঞানশুন্য হয়ে পড়ে সে। তপনকে সোমবার খড়গপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে। একটি কৃষক পরিবারের মালিক ও বিবাহিত তপন মান্নার এই ভূমিকায় হতবাক হয়ে গেছে কেশিয়াড়ি।