নিউজ ডেস্ক : দলবদল তখনও করেননি শুভেন্দু অধিকারী, তখন থেকেই তাঁকে লাগাতার আক্রমন করেই চলেছেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। দলবদলের পর সেই আক্রমনের ধাঁচ আরও বাড়ে। শুধু শুভেন্দুই নয় ক্রমশ আক্রমন চলতে থাকে শুভেন্দুর পরিবারকেও। কিন্তু এবার যা হল তা নজির বিহীন। একেবারে রক্তাক্ত হুমকি দিয়ে এবার কল্যান শুভেন্দুর উদ্দেশ্যে বলেন, “তোর হাত কেটে নেব।” শুধু তাই নয়, পাশাপাশি তাঁকে মন্তব্য করতে শোনা যায়, তোকে পিষে দেব বলেও।
দলবদলের পর প্রায় প্রতিদিনই প্রাক্তন মন্ত্রীকে নিশানা করেছেন কল্যাণ। রবিবার জাঙ্গিপাড়ার সভা থেকে শুভেন্দুর হাত কেটে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিতে গিয়ে কল্যাণ বলেন, “তোর হাত কেটে নেব। রামনবমীর আগে দেখা হবে, পিষে দেব।” পাশাপাশি এদিন শুভেন্দুর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তোলেন তৃণমূল সাংসদ। বলেন, “লক্ষ্ণণ শেঠের পর কাঁথির মেজোবাবুই হয়ে উঠেছিলেন হলদিয়ার ডন। জাহাজ থেকে মাল নামানোর আগে ১৫-২০ শতাংশ কমিশন নিতেন।”
রাজনৈতিক বিরোধিতা নিয়ে রাজনৈতিক নেতারা একে অপরের উদ্দেশ্যে আক্রমন করেই থাকেন। যুক্তি পাল্টা যুক্তি চলতে থাকে। যদিও বাংলার রাজনৈতিক সংষ্কৃতিকে ইদানিং ব্যক্তি আক্রমন, অকথা-কুকথার স্রোত যুক্ত হয়েছে কিন্তু এদিন কল্যাণ যা বলেছেন তা সমস্ত নজির অতিক্রম করে গেছে। প্রকাশ্যে ‘দেখে নেওয়া’র মত কথা বললেই তা ভারতীয় অপরাধ বিধির দণ্ডনীয় ধারায় মামলা গৃহীত হবার মত বিষয় সেই জায়গায় কল্যাণ একেবারে হাত কেটে নেওয়া, পিষে দেওয়ার মত কথা বলেন কী করে তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী ওই আইনজীবী সাংসদের বিরুদ্ধে আদালতে যেতেও পারেন চাইলে।
এদিন তাঁর বক্তব্যের একটি অংশ নিয়ে দলের মধ্যেও বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সরকারি ভাবে দলের পক্ষে এখনো কোনো বিধায়ক পদ প্রার্থীর নাম ঘোষণা হয়নি অথচ জাঙ্গিপাড়া কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন তিনি । যা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে দলের অভ্যন্তরে। এসবের পর এদিন মঞ্চ থেকে কল্যাণবাবু বলেন, “আগামী নির্বাচনে জঙ্গিপাড়ার প্রার্থী হবেন বর্তমান বিধায়ক স্নেহাশিস চক্রবর্তী।” নির্বাচনের দিণক্ষণ ধার্য হওয়ার আগে এভাবে প্রার্থীর নাম ঘোষণা ভালভাবে নেননি দলের একাংশ।