ওয়েব ডেস্ক: আনলক ১ এর পর ২১ দিন কেটে গিয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুলে গিয়েছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ধর্মীয় স্থান। এ রাজ্যেও ইতিমধ্যেই খুলে গিয়েছে দক্ষিণেশ্বর মন্দির ও বেলুড় মঠ। দীর্ঘ অপেক্ষার পর ভক্তদের উদ্দেশ্যে অবশেষে ১ জুলাই থেকে খুলছে কালীঘাট মন্দির। মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, এবার থেকে প্রতিদিন সকাল ছটা থেকে বেলা ১২টা ও বিকেল ৪টে থেকে সন্ধে ৭টা পর্যন্ত খোলা থাকবে মন্দির। তবে এ ক্ষেত্রেও থাকছে বেশ কিছু বিধিনিষেধ।
সামাজিক দূরত্ব মেনে মন্দিরের ভিতরে ১০ জন করে প্রবেশ করতে পারবেন। প্রত্যেক দর্শনার্থীর কাছে বাধ্যতামূলকভাবে থাকতে হবে মাস্ক, গ্লাভস ও স্যানিটাইজার। তবে ভক্তরা এতদিন মন্দিরের ভিতরে প্রবেশ করতে পারলেও করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় এখন আর মন্দিরের অন্দরে প্রবেশ করতে পারবেন না। পাশাপাশি, মন্দিরের ভিতরে প্রবেশ করার আগে প্রত্যেককে স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে৷ নতুন নিয়ম অনুযায়ী ঢোকা ও বেরোনোর পথ আলাদা করা হয়েছে। ভক্তদের ২নম্বর গেট দিয়ে ঢুকতে হবে এবং বেরোতে হবে চার নম্বর গেট দিয়ে। তবে, মন্দিরে ঢুকতে পারলেও এই মূহুর্তে কোনোভাবেই তাদের গর্ভগৃহে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না। এমনকি পুজোর কোনো সামগ্রীও দেওয়া যাবে না।
তবে শুধু কালীঘাটই নয় দীর্ঘ অপেক্ষার পর বিধিনিষেধ মেনে অবশেষে ৯৩ দিন পর রথযাত্রার দিন খুলছে তারাপীঠ মন্দিরও। তবে মন্দির খুললেও এক্ষেত্রেও বেশ কিছু বিধিনিষেধ রয়েছে৷ ইতিমধ্যেই মন্দিরে প্রবেশ পথে বসানো হয়েছে স্যানিটাইজেশন টানেল। সঙ্গে বাধ্যতামূলকভাবে থাকতে হবে মাস্ক, গ্লাভস। মন্দিরে প্রবেশের আগে প্রত্যেক ভক্তকে প্রবেশ পথে থার্মাল ক্রিনিং করা হবে। ক্রিনিং ঠিক থাকলে তবেই স্যানিটাইজেশন টানেল দিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করার অনুমতি দেওয়া হবে৷ নাটমন্দিরে অন্তত ৬ ফুট দূরত্ব থেকে পুজো দেওয়া যাবে। মন্দিরে ঢোকা ও বেরোনোর জন্য আলাদা প্রবেশ পথ রয়েছে।
তবে শুধুমাত্র কালিঘাটে নয়, এই মূহুর্তে তারাপীঠেও গর্ভগৃহে প্রবেশ করার অনুমতি দিচ্ছেননা মন্দির কর্তৃপক্ষ। তবে যেহেতু রথের দিন মন্দির খুলছে সেক্ষেত্রে অনেকেই মনে করতে পারেন যে প্রতি বছরের মতো এবছরও তারাপীঠ মন্দিরে রথযাত্রা উদযাপন হবে। কিন্তু ভক্তদের সে আশায় জল ঢেলে ইতিমধ্যেই মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এবছর রথযাত্রা হচ্ছে না তারাপীঠে। কালিঘাট ও তারাপীঠ মন্দিরের সাথে জড়িয়ে রয়েছে প্রায় কয়েক হাজার মানুষের জীবন-জীবিকা। দীর্ঘ ৩ মাস মন্দির বন্ধের জেরে টান পড়েছিল তাদের রুজিরোজগারে। ফলে এতদিন পর এই দুই মন্দির খোলার ঘোষণায় ভক্তদের পাশাপাশি তাদের মুখেও খুশির ছাপ স্পষ্ট।