নিজস্ব সংবাদদাতা; ঝাড়গ্রাম : ঝাড়গ্রাম জেলায় দ্বিতীয় করোনা শহিদ হলেন এক পুলিশ আধিকারিক। ঝাড়গ্রাম থানার অধীন মানিকপাড়া ফাঁড়িতে কর্মরত সহকারি সাব ইন্সপেক্টর মনোজ কুমার মন্ডল বুধবার করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে জানা গেছে। কয়েকদিন আগেই মৃত্যু হয়েছিল ঝাড়গ্রাম জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক-২ সিএমওএইচ ২ ডঃ সুবোধ মন্ডলের। গত ৭ই সেপ্টেম্বর করোনা সংক্রমন নিয়ে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় ডঃ মন্ডলের। তার প্রায় ১০ দিনের মাথায় মৃত্যু হল ৪৮ বছর বয়সী এই পুলিশ আধিকারিকের। অন্যদিকে মনোজ কুমার মন্ডল ঝাড়গ্রাম জেলার প্রথম পুলিশ কর্মী যিনি করোনা যুদ্ধে শহিদ হলেন।
জানা গেছে ঝাড়গ্রাম পুলিশ লাইনে এএসআই পদক কর্তব্যরত ছিলেন তিনি । ঝাড়গ্রাম ব্লকের মানিকপাড়া প্রায় আট দিন একটানা ডিউটি করে ঝাড়গ্রাম শহরের ভাড়া বাড়িতে ফিরছিলেন। লালগড় থানার নেতাই গ্রামের বাসিন্দা মন্ডল ঝাড়গ্রাম শহরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের রঘুনাথপুর এলাকার একটি ভাড়া বাড়িতে সপরিবারে থাকতেন । বাড়িতে ফেরার পর বুধবার সন্ধ্যা থেকে শারীরিক অবস্থা বেগতিক হয়ে পড়ে হঠাৎ শ্বাসকষ্ট শুরু হয় । মনোজ বাবুর স্ত্রী ও বড় মেয়ে তাঁকে ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের এমার্জেন্সি তে নিয়ে আসেন ।
করোনার উপসর্গ থাকায় ঝাড়গ্রাম হাসপাতালের যে ওয়ার্ডে করোনার উপসর্গ ব্যক্তিদের রাখা হয় সেখানে মনোজবাবুকে ভর্তি করে ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল । হাসপাতালে ভর্তির কয়েক ঘন্টার মধ্যেই প্রবল শ্বাসকষ্টের কারণে মৃত্যু হয় মনোজ কুমার মন্ডলের। পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ১০ বছর ধরে মনোজ বাবুর ডায়াবেটিস ছিল। পরে অবশ্য বুধবার মধ্যরাতেই প্রশাসন পক্ষ থেকে মনোজ বাবুর দেহ সৎকার করা হয় ঝাড়গাম পৌরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের নামো জামদা এলাকার নহড়খাল শ্মশানে।
অন্যদিকে ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুরের এক করোনা আক্রান্ত বয়স্ক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে ঝাড়গ্রাম করোনা হাসপাতালে। জানা গেছে কলকাতায় কর্মরত ছিলেন তিনি। সেখান থেকেই অসুুুস্থ হয়ে ফেরেন। বাড়ি ফেরার পর আরও অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। একদিন জ্বরের ঘোরে খাট থেকে পড়ে যান। এরপরই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় ৬৫ বছরের ওই ব্যক্তিকে। এরপর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি বৃহস্পতিবার মৃত্যু হয়েছে তাঁর। অন্যদিকে একটি সূত্রে জানা গেছে ঝাড়গ্রাম জেলায় পর্যায়ক্রমে বেশ কিছু জন পুলিশ কর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন।