নিজস্ব সংবাদদাতা: মদ্যপান জনিত বচসায় ঝাড়খণ্ডে দুটি পৃথক ঘটনায় অধঃস্তন সহকর্মীর গুলিতে মৃত্যু হয়েছে তিন পুলিশ আধিকারিকের। এক্ষেত্রেও বচসার জেরে নিজের সিনিয়র কমান্ডারকে গুলি করে নিজে আত্মঘাতী হলেন এক জওয়ান। ঝাড়খণ্ডের রাঁচির কাছে প্রথম ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সকালে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
তখন নিজের চারিদিকে এলোপাথাড়ি গুলি ছুঁড়তে শুরু করে বিক্রম। এতে দুজনেই জখম হন। এরপরই হাতে থাকা রাইফেল থেকে গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হয় সে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন পুলিশ সুপার সৌরভ-সহ উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকরা।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
সিএসএপির আধিকারিকদের অনেকে বলছেন, বিক্রম রাজওয়াড়ে মাঝে মধ্যেই মদ খেত। তারপর গন্ডগোল করত। কিছুদিন আগেই মদ্যপ অবস্থায় সহকর্মীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েছিল। এরপরই দায়িত্বপ্রাপ্ত কমান্ডার কুরে উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের কাছে অভিযোগ জানান।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
নির্বাচনের ডিউটি চলাকালীন একদল জওয়ান মদ খেয়ে গন্ডগোল করছে। বাহিনীর নিয়ম ভাঙছে। এই ঘটনার পরে কিছু জওয়ানকে অন্য জায়গায় সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তারপরও যে ঝামেলা মেটেনি, সোমবারের ঘটনা তারই প্রমাণ। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছেন ঝাড়খন্ড পুলিশ।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
প্রায় একই ঘটনার স্বাক্ষী হয়েছে এদিন ঝাড়খণ্ডের বোকারো। সেখানেও নির্বাচন উপলক্ষ্যে মোতায়েন করা হয়েছিল সিআরপিএফের ২২৬নম্বর ব্যাটেলিয়নের জয়ানদের। সোমবার সকাল সাড়ে নটা নাগাদ এক জওয়ানের মদ্যপান নিয়ে তাকে বকাবকি করে একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমান্ডেন্ট। আচমকাই নিজের রাইফেল থেকে গুলি চালিয়ে দেয় ওই জওয়ান। কমান্ডেন্ট বাঁচাতে এসে গুলিবিদ্ধ হন একজন এ.এস.আই। মৃত্যু হয় দুজনেরই। জওয়ানকে নিরস্ত্র করতে অন্য জওয়ানের গুলিতে আহত হন অভিযুক্ত।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
গত সপ্তাহেই ছত্তিশগড়ের বস্তারে নিজেদের মধ্যে বচসায় জড়িয়ে গিয়ে পারস্পারিক গুলি বিনিময়ে মৃত্যু হয়েছিল তিন বাঙালি সমেত ৬জন ইন্দো টিবেটিয়ান বর্ডার পুলিশের। এক সপ্তাহের মধ্যে আবারও সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল ঝাড়খণ্ডে। এই সমস্ত ঘটনার ফলে পুরো ঘটনায় শৃংখলা বাহিনীর ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন উঠে গেছে।