নিউজ ডেস্ক : আবগারি দপ্তরের এক মহিলা আধিকারিককে তুমুল হেনস্তার পাশাপাশি তার গাড়ির চালককে তৃণমুল কার্যালয়ের মধ্যে আটকে রেখে মারধরের অভিযোগ উঠলো এক দল তৃনমুল কর্মীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি রোড এলাকায়। এব্যাপারে ময়নাগুড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই মহিলা আধিকারিক। তৃণমুল নেতৃত্বের বক্তব্য, দলের কোনও কর্মী এই ঘটনায় জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
ঘটনা প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়ি আবগারি দপ্তরের ডেপুটি কালেক্টর সুমনা দে বুধবার বিকেল থেকে অন্যান্য কর্মী ও আধিকারিকদের নিয়ে ময়নাগুড়ি রোড এলাকায় জাতীয় সড়কের ওপর নাকা তল্লাশি চালাচ্ছিলেন। আবগারি দপ্তরের কাছে খবর ছিল জাতীয় সড়কের ওপর দিয়ে যাওয়া গাড়িগুলির মধ্যে দিয়েই ইদানিং মাদক পাচারের রমরমা কারবার চলছে। সন্ধ্যা গড়িয়ে যাওয়ার পর সিফট চেঞ্জ হওয়ার সময় কয়েকজন কর্মী চলে যায়। পরবর্তী কর্মীরা আসার মধ্যবর্তী সময়ে ওই মহিলা আধিকারিক একাই দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন।
অভিযোগ সেই সময় কয়েকজন তৃনমূল কর্মী এসে ওই মহিলা আধিকারিককে উত্যক্ত করতে শুরু করলে বচসা শুরু হয়। ওই তৃনমূল কর্মীরা আধিকারিকের গায়ে হাত দেন এবং ঠেলাঠেলি করতে শুরু করে। এই সময় বাধা দিতে আসেন তাঁর গাড়ির চালক। তৃনমূলের ওই কর্মীরা তখন ওই মহিলা আধিকারিকের গাড়ির চালককেও পাশের একটি তৃণমুল কার্যালয়ে নিয়ে আটকে রেখে মারধর করা হয়৷ প্রায় ২ ঘন্টা ধরে চলে হেনস্তা ও অকথ্য ভাষায় গালাগাল।
খবর পৌঁছায় আবগারি দপ্তরের অন্যান্য কর্মীদের কাছে। কিন্তু তাঁদেরও সাহস হয়নি ওই কার্যালয়ে গিয়ে দুজনকে উদ্ধার করার। তাঁরা যোগাযোগ করেন ময়নাগুড়ি থানার সাথে। এরপর ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই মহিলা আধিকারিক ময়নাগুড়ি থানায় এসে ৮ জনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তদের মধ্যে বেশিরভাগই এলাকায় তৃণমুল কর্মী বলে পরিচিত। কী কারণে তৃনমূল কর্মীরা এই ঘটনা ঘটালেন, কেন তারা রাস্তা থেকে সরিয়ে আধিকারিক ও চালককে কার্যালয়ে নিয়ে এসে আটকে রাখলেন এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই তৃনমূল কর্মীদের কেউ কি মাদক পাচারের সঙ্গে যুক্ত। ওই রাস্তা দিয়ে কোনও কী মাদক দ্রব্য যাওয়ার কথা ছিল যা আড়াল করতেই এই ঘটনা? খতিয়ে দেখছে পুলিশ।