ওয়েব ডেস্ক : ১২দিন আগের ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় কেড়ে নিয়েছে বাংলার প্রায় ১০০টি প্রান। তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে একের পর এক বাড়ি। উজাড় হয়ে গিয়েছে গ্রামের পর গ্রাম। ভিটে মাটি হারিয়ে এখন অসহায় ভাবে দিন যাপন করছেন অনেকেই। ধ্বংস হয়ে গেছে আড়াই খানা জেলা। ভারতের পূর্ব উপকূলের সেই ঝড়ের পর আবার পশ্চিম উপকূলে আরেক সর্বনাশা ঝড় ধেয়ে আসছে। আমফানের পর এই ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় ‘নিসর্গ’ ক্রমশই নিকটবর্তী হচ্ছে পশ্চিম উপকূলের স্থলভাগের দিকে।
ইতিমধ্যেই এর জেরে আবহাওয়া দফতরের তরফে জারি করা হয়েছে আগাম সতর্কতা। এই ঝড়টিকে অতি শক্তিশালী ঝড়ের তকমা দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রশাসনের তরফে মৎসজীবিদের সমুদ্রে না নামার সতর্কতা দেওয়া হয়েছে। উপকূলবর্তী মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরানোর জন্য তোড়জোড় শুরু হয়ে গেছে। উপকূলের বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে গেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, ঘন্টায় ১২৫ কিমি বেগে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘নিসর্গ’। মনে করা হচ্ছে স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সময় এটি ‘আমফান’ এর মতোই ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারে। যে কারনে চূড়ান্ত সতর্কতার পাশাপাশি বিপর্যয় পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে স্থানীয় প্রাশাসন গুলিকে। প্রাচুর পরিমানে শুকনো খাবার, গুঁড়ো দুধ, শিশু খাদ্য ও জামা কাপড় মজুত করা হচ্ছে আগাম চিহ্নিত করা ত্রান কেন্দ্রগুলিতে।
ইতিমধ্যেই এই ঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টি শুরু হয়েছে পশ্চিম উপকূলে। বৃষ্টি হচ্ছে কর্নাটক, মহারাষ্ট্র ও গুজরাটে। একেই করনার জেরে বিধ্বস্ত মহারাষ্ট্র ও গুজরাট। একেরপর এক বেড়েই চলেছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। তার ওপর এই ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় কিভাবে সামাল দেবে তা নিয়ে রীতিমতো মতো কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে দুই রাজ্যের।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই ঘূর্ণিঝড়ের জেরে উপকূলীয় এলাকার মানুষদের সরানো হবে অন্যত্র। ফলে এক জায়গায় এত মানুষকে রাখার ফলে মানা হবে না সোশ্যাল ডিস্টেন্সিং। আর এই পরিস্থিতিতে না মানতে পারাটাই স্বাভাবিক। ফলে করনা সংক্রমণ আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ত্রান কার্য চলার পাশাপাশি যাতে করোনা বিধি লঙ্ঘন না হয় তা নিশ্চিত করতে তৈরি পুলিশ।