ওয়েব ডেস্ক : সুশান্তের বাবা কেকে সিং পাটনা থানায় সুশান্তের বান্ধবী তথা অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে সুশান্তের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা হাতানো সহ একাধিক অভিযোগ করেন। এরপর ঘটনার তদন্ত করতে বিহার পুলিশের তরফে মুম্বইয়ে সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর তদন্তে এসেছিলেন বিহার পুলিশের একটি দল। সেই সাথে এই তদন্তের নেতৃত্বে ছিলেন আইপিএস অফিসার বিনয় তিওয়ারি। তবে মুম্বই পৌঁছতেই তদন্তে বাধা দিতে তাঁকে জোর করে কোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়ে দেয় বৃহন্মুম্বাই কর্পোরেশন। শেষমেশ কোয়ারেন্টাইন থেকে মুক্তি দেওয়া হল আইপিএস অফিসার বিনয় তিওয়ারিকে। কোয়ারেন্টাইন থেকে মুক্তি দেওয়ার পর শুক্রবারই তাঁকে পাটনা ফিরে যেতে বলা হয়েছে। জানা গিয়েছে, বিহার পৌঁছে ৮ অগস্ট অর্থাৎ শনিবার থেকে ফের কাজ শুরু করবেন বিনয় তিওয়ারি।
শুক্রবার কোয়েরেন্টাইন থেকে মুক্তি পাওয়ার পর মুম্বাই পুলিশ তাঁকে আটকে রেখে কীভাবে তদন্তে ব্যাঘাত ঘটাতে চেয়েছেন তা নিয়ে মুখ খোলেন বিনয় তিওয়ার। তিনি বলেন, বিহার পুলিশ যাতে এই মামলার তদন্ত না করতে পারে সেকারণে প্রথমদিন থেকেই বিহার পুলিশের আধিকারিকদের অসহযোগীতা করেছেন। তিনি আরও বলেন, ”আমাদের তদন্ত প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটেছে। ওনারা ওনাদের নিয়ম মেনে আমাকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়েছিলেন। আমরা তদন্তের মাধ্যমে ফল পাওয়ার চেষ্টা করে গিয়েছি। এখন তদন্ত অন্য সংস্থা করবে। মুম্বই পুলিশ, কিংবা বৃহন্মুম্বাই পুরসভা কী চাইছে তা বলতে পারবো না।”
এদিকে শুক্রবার আইপিএস বিনয় তিওয়ারিকে কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড়ার পর বিএমসি-র তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ”আমাদের তরফে আইপিএস অফিসার বিনয় তিওয়ারিকে হোম কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড়া হল, এবং তাঁর পাটনা ফেরার ব্যবস্থা করা হচ্ছে, যাতে তিনি সেখানে গিয়ে কাজ শুরু করতে পারেন।” এদিকে বিনয় তিওয়ারিকে কোয়ারেন্টাইনে রাখার জন্য বৃহস্পতিবারই বিহার পুলিশেরর তরফে গুপ্তেশ্বর পান্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি জানান, তদন্ত যাতে দেরি হয়, সেকারণে কোয়ারেন্টাইনের নামে ইচ্ছে করেই আইপিএস বিনয় তিওয়ারিকে আটকে রেখেছে বিএমসি। এরপরই বিহারের ডিজিপি গুপ্তেশ্বর পান্ডে বিএমসি-কে চিঠি লিখে বিনয় তিওয়ারিকে ছেড়ে দেওয়ার জন্যও অনুরোধ করেছিলেন। এরপর বিহারের ডিজিপির অনুরোধে সারা দিয়ে শুক্রবার ছেড়ে দেওয়া হয় বিনয় তিওয়ারি-কে৷ পাশাপাশি ৮ই আগস্টের মধ্যে তাকে মুম্বাই ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়।