Homeএখন খবরমুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতেই শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে ধুন্ধুমার এনজেপি সংলগ্ন স্থলবন্দর! গুলি চলার...

মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতেই শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে ধুন্ধুমার এনজেপি সংলগ্ন স্থলবন্দর! গুলি চলার অভিযোগ

নিউজ ডেস্ক: শহরে উপস্থিত খোদ মুখ্যমন্ত্রী, আর তারই মাঝে সংঘর্ষে জড়াল শাসকশিবিরের শ্রমিক সংগঠনের দুই গোষ্ঠী। আর এই সংঘর্ষ ঘিরে রীতিমত রণক্ষেত্রের রূপ নিল এনজেপি সংলগ্ন স্থলবন্দর চত্বর। এমনকি গুলি চালানোর অভিযোগও উঠে এসেছে ঘটনায়।

জানা যায় বৃহস্পতিবার স্থানীয় কর্মী নিয়োগের দাবীতে স্থল বন্দরের গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখায় এনজেপির আইএনটিটিইউসি কর্মীরা। তাদের অভিযোগ, এই স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন ধরেই বহিরাগত কর্মী ও গাড়ি ব্যবহার করে চলেছিল। একাধিকবার আলোচনা করার পরেও সমস্যার সমাধান না হলে এদিন আন্দোলনে নামেন তারা। এরপর সেখানেই দুপক্ষের মধ্যে ঝামেলা বাঁধে। স্থল বন্দরে ভাঙচুরও চালানো হয় বলেও অভিযোগ। ল্যাপটপ-কমপিউটার ভেঙে ফেলা হয়। গোটা এলাকা কার্যত দুষ্কৃতকারীদের দখলে চলে যায়। প্রাণ বাঁচাতে এদিক ওদিক ছোটাছুটি করতে থাকেন টি-পার্কের কর্মীরা। এদিকে পরিস্থিতি সামাল দিতে স্থল বন্দরের নিরাপত্তা কর্মীরা শূন্যে কয়েক রাউন্ড গুলি চালায়।

স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, পাঁচ ট্রাক বোঝাই আইএনটিটিইউসির শ্রমিক বাঁশ,ইট নিয়ে ঢুকে যায় স্থলবন্দরে।ভাঙচুর চালায় তারা। প্রায় দুকোটি টাকার ওপরে ক্ষতি হয়েছে।অনেক নিরাপত্তারক্ষী আহত হয়েছে। অপরদিকে আইএনটিটিইউসি নেতা প্রসেনজিৎ রায় জানান, তাঁরা টি-পার্কে স্থানীয় গাড়ি ও স্থানীয় শ্রমিক নিয়োগের দাবী দীর্ঘদিন ধরে জানিয়ে আসছেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ কোনও আলোচনা ছাড়াই কম পয়সায় বাইরের শ্রমিক ও গাড়ি দিয়ে কাজ চালাচ্ছে। উল্টে এদিন টি-পার্কের ভেতর থেকেই তাদের ওপর গুলি চালানো হয়েছে। সমস্যা না মিটলে অনশনে বসারও হুমকি দেন এদিন তিনি।

দুপক্ষেরই অভিযোগ, তাদের দিকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়েছে। বেশ কিছুক্ষণ তাণ্ডব চলার পর স্থানীয় নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি কিছুটা সামাল দেয়। জনগণকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠি চার্জও করে পুলিশ এবং ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেস শ্রমিক সংগঠনের নেতা বাপি পাল সহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

অন্যদিকে এই ঘটনার রেশ ছড়িয়ে পড়ে শিলিগুড়ির নেতাজী মোড় এলাকায়। দলীয় নেতা গ্রেফতারের প্রতিবাদে সেখানেও পথ অবরোধ করেন আইএনটিটিইউসি অনুগামীরা, যার ফলে এলাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। হেনস্থা হতে হয় পর্যটকদেরও। যদিও শেষ পাওয়া খবর অবধি বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন থাকলেও এলাকায় চাপা উত্তেজনা রয়েছে।

আলিপুরদুয়ারে প্যারেড গ্রাউন্ডের জনসভা থেকে বুধবারেই মুখ্যমন্ত্রী ইঙ্গিত দিয়েছেন, আগামী সাত থেকে আট দিনের ভেতরেই বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হতে পারে। আর এমন পরিস্থিতিতে বারবার প্রকাশ্যে আসছে শাসক শিবিরের গোষ্ঠী কলহ। আর এদিন মুখ্যমন্ত্রী শহরে উপস্থিত আছেন জেনেও যেভাবে শাসক শিবিরের দুই গোষ্ঠী সংঘর্ষে জড়াল, তাতে ঘাসফুল শিবিরের ভিত কতটা মজবুত, সে বিষয়ে যথেষ্ট সন্দিহান সকলেই এবং এর প্রভাব যে আগামী দিনে ভোট বাক্সেও পড়তে চলেছে, সেই বিষয়েও শঙ্কা প্রকাশ করছেন অনেকেই।

RELATED ARTICLES

Most Popular