ওয়েব ডেস্ক : খাস কলকাতায় নৃশংস খুনের ঘটনায় তোলপাড় গোটা শহর।বাড়িওয়ালার হাতে খুন হল ভাড়াটে। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ট্যাংরা থানার ৩৮ নম্বর ডি সি দে রোড এলাকায়। ঘটনার পর থেকে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। এর জেরে এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই বাড়িওয়ালা সহ ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে ট্যাংরা থানার পুলিশ। ঘটনায় পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, বহুদিন যাবৎ ট্যাংরা থানা এলাকার ৩৮ নম্বর ডি সি দে রোডের বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে ভাড়া থাকেন বেশ কয়েকটি পরিবার। বেশ কয়েকদিন যাবৎ ভাড়া নিয়ে অশান্তি চলছিল বাড়িওয়ালার সাথে। রবিবার রাতে বাড়িওয়ালা অশোক দাসের সাথে ভাড়াটে সুনীল দাসের সঙ্গে ফের ভাড়া নিয়ে বিবাদ শুরু হয়।
ঘটনায় স্থানীয়দের অভিযোগ, কিছুদিন যাবৎ বাড়িওয়ালা পুরনো ভাড়াটেদের অন্যায়ভাবে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করছিল। এর জেরে প্রায় প্রতিদিনই ভাড়াটেদের ওপর নানারকম অত্যাচার করতো বাড়ির মালিক। শনিবার রাতেও এই একই বিষয়ে বাড়িওয়ালার সাথে ভাড়াটে সুনীল দাসের মধ্যে বচসা শুরু হয়। অভিযোগ, সেসময় বাড়িওয়ালা অশোক দাসের ছেলে আচমকা ভাড়াটে সুনীল দাসের মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে। ঘটনায় সঙ্গে সঙ্গেই অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সুনীল। এদিকে এই দৃশ্য দেখে তাঁকে বাঁচাতে ছুটে যায় আর এক ভাড়াটে মনোজ রাম। তাঁর পেটে ভাঙা কাঁচের বোতল ঢুকিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় মূহুর্তে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে মনোজ রাম নামে ওই যুবক। ঘটনায় তাকে দ্রুত এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এদিকে ঘটনার পর খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ট্যাংরা থানার পুলিশ এসে বাড়িওয়ালা সহ ঘটনায় জড়িত ৮ জনকে গ্রেফতার করেন। ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনার পর রবিবার সকালেই ঘটনাস্থলে তদন্তে যান ডিসি ইএসডি অজয় প্রসাদ। তিনি এলাকায় ঢোকার পরেই অভিযুক্তদের কড়া শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন এলাকাবাসী৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হলে পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।