নিউজ ডেস্ক: শিলিগুড়ির বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে দুই আটক চিনা নাগরিকে আটক করেছে পুলিশ। কী কারণে তারা শহরে এসেছে তাই নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। তাদের কাছে পাওয়া কাগজপত্র থেকে তাদের পরিচয় ও উদ্দেশ্যে নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে পুলিশ সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে।
এখনও পর্যন্ত জানা গেছে মঙ্গলবার বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে হায়দ্রাবাদগামী একটি বিমানে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ওই দুই চিনের বাসিন্দা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সন্তুষ্ট না হয়ে তাদের আটক করে সিআইএসএফ জওয়ানরা। তাদের কাছ থেকে যে নথিপত্র উদ্ধার হয়েছে তা সন্দেহজনক ।এমনকি আধার কার্ডটির বৈধতা নিয়েও যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে । ধৃতদের নাম হল যাং জুং ও কাই লেন ।
বিমানবন্দরের আধিকারিক ও সিআইএসএফ আধিকারিকরা তাঁদের কাগজপত্র পরীক্ষা ও প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সন্তুষ্ট না হওয়ায় তাঁদের যাত্রা স্থগিত করে তুলে দেন শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের বাগডোগরা থানায়। সেখান থেকে তাঁদের শিলিগুড়ি পুলিশের সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়। ছুটে আসেন শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের আধিকারিক ও গোয়েন্দারা। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করার সাথে সাথে পুলিশের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় অভিবাসন দপ্তরের সাথেও যোগাযোগ করা হতে চলেছে বলে জানা গেছে।
পুলিশসূত্রে জানা যায়, এই দু’জন গত ৩ মার্চ নেপাল থেকে করাচী যায় । তারপর সেখান থেকে ফিরে ফের নেপালে যায় । সোমবার তারা বাগডোগরায় এসে মঙ্গলবার বিমানে করে হায়দ্রাবাদ যাওয়ার আগেই তাদের আটক করা হয় ।
নির্বাচনের আগে সন্দেহজনক দুই জন আটক হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে প্রশাসনিক মহলে । তার ওপর এরা দুই জনেই আবার পাকিস্তান গিয়েছিল । তাই পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে কি উদ্দ্যেশ্যে করাচী গিয়েছিল তা জানার চেষ্টা করছে।
এমনিতেই শিলিগুড়ি বিভিন্ন পাচারচক্র ও বেআইনি কারবারিদের স্বর্গরাজ্য। আন্তঃরাজ্য সীমান্তের সঙ্গে রয়েছে আন্তর্জাতিক সীমান্তও। পাহাড়ি এবং জঙ্গলঘেরা এলাকা হওয়ায় দারুন সুবিধা বেআইনি কারবারের। পাশাপাশি সিকিম ও বিহারের চোরাকারবারিরা যথেষ্ট সক্রিয় এখানে। এই সবের মধ্যেই দুই চিনা নাগরিকের আগমন এবং ঘনঘন তাঁদের দেশের এপ্রান্ত অপ্রান্ত ছুটে যাওয়ার মাঝখানে আবার পাকিস্তান ভ্রমন, সব মিলিয়ে গোয়েন্দাদের যথেষ্ট সন্দেহের কারন হয়ে উঠেছে ওই দুজন বিদেশি।