ভীষ্মদেব দাশ, খেজুরিঃ চারিদিকে নানা গুজব। দলত্যাগ করছেন শুভেন্দু! তার মাঝে নীরবে নিজের কাজ করে চলেছেন রাজ্যের অন্যতম জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতা তথা মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। খেজুরিতে ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের আশ্রমে পানীয় জল ও কংক্রিটের রাস্তা গড়ে দিলেন তিনি।
পূর্ব মেদিনীপুরের সমুদ্র উপকূলে খেজুরি বন্দর সৎসঙ্গ আশ্রম। বিশুদ্ধ পানীয় জল এবং কংক্রিটের রাস্তা এখানে ছিল না। এর ফলে ভীষন সমস্যায় পড়তেন আশ্রমবাসী। রাজ্যের সেচ, পরিবহন এবং জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী খবর পান। একটি সাবমারসিবল পাম্প ও কয়েকশো ফুট কংক্রিটের রাস্তা গড়ে দিলেন তিনি। শুধু আশ্রমবাসীরাই নয়, এলাকার হাজার হাজার মানুষ এর ফলে উপকৃত হবেন।
লকডাউন শুরুর আগে ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের এই আশ্রমে এসেছিলেন শুভেন্দুবাবু। তখনই তাঁর নজরে আসে আশ্রমে সাবমারসিবল পাম্প নেই। আশ্রমে আসার জন্য কংক্রিটের রাস্তা ছিল না। যাতায়াতে প্রবল সমস্যা। তিনি নিজে উদ্যোগী হয়ে এই দুটি কাজে হাত দেন। সোমবার রাস্তার কাজ শেষ হয়েছে। কয়েকদিন আগে শেষ হয়েছে পাম্পের কাজ। শুভেন্দুবাবুর ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে খবর, অনুকূল ঠাকুরের এই আশ্রমের উন্নয়নে আরও কিছু করার পরিকল্পনা আছে শুভেন্দুবাবুর। আশ্রমিকদের মধ্যে খুশির হাওয়া। খেজুরি বন্দর সৎসঙ্গ আশ্রমের অধ্যক্ষ দীপঙ্কর মন্ডল জানিয়েছেন, “আগে আমাদের আশ্রমে টিউবওয়েল থেকে জল তুলতে হত। কোনও কারণে তা খারাপ হয়ে গেলে বহুদূর থেকে পানীয় জল আনতে হত। এছাড়াও রাস্তা না থাকায় বর্ষাকালে যাতায়াতে ভীষণ অসুবিধা হত। মাননীয় মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী সেই সমস্যা দূর করেছেন। শ্রীশ্রী ঠাকুরের কাছে শুভেন্দুবাবুর আরও সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করি।” প্রসঙ্গত শুভেন্দু অধিকারীর দল পরিবর্তন নিয়ে চলছে তর্জা। খবরের শিরোনামে, সোশ্যাল মিডিয়াজুড়ে চলছে শুভেন্দু অধিকারীর দলত্যাগ নিয়ে নানান মত প্রকাশ। তবে কর্নপাত করেননি তিনি। নিরবে থেকে গতানুগতিক কাজ করে চলেছেন তিনি। নদীবাঁধ মেরামত, রাজ্যের বিভিন্নপ্রান্তে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া থেকে শুরু করে এলাকার সমস্যার সমাধান করে চলেছেন অবিরাম।