নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রামে ভোট পর্ব শেষ হয়েছে। এদিন নন্দীগ্রামে দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণের পর বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী সংবাদ মাধ্যমের সামনে জানিয়েছিলেন, “বেগমের এখান থেকে জেতা হচ্ছে না। ২ মে ইস্তফা দিতে হবে।” এবার বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন “প্রথম দু’দফার ভোট শেষ। প্রথম দু’দফার ভোটেই হাফ সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ফেলেছে বিজেপি।”
একইসঙ্গে তিনি আরও দাবী করেছেন, বিজেপি ও তৃণমূল, দু’ তরফের জন্য়ই এখন এটা ‘মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ’ ও ‘চাপ নেওয়ার খেলা।‘ বয়ালের বুথে মমতার আটকে থাকা প্রসঙ্গেও এদিন কটাক্ষ করেন দিলীপ ঘোষ। মমতাকে বিঁধে দিলীপ বলেন, এই ধরনের ষ্মৈরাচারী শাসনে এটাই স্বাভাবিক ছিল। ট্রাম্পকেও আপনারা দেখেছেন। ইনিও তাই করতে পারেন। হার বুঝতে পেরেছেন। সেজন্য শেষ পর্যন্ত নিজেই বেরিয়ে গিয়ে গন্ডগোল করার চেষ্টা করেছেন। দু ঘন্টা বুথে বসা ওনাকে শোভা দেয় না। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে এমনকি ক্যান্ডিডেট হিসেবেও। পাশাপাশি রাজ্যপালকেও এদিন মুখ্যমন্ত্রীর ফোন করা নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, সময় খারাপ হলে অনেক কিছই করেন। সময় ভাল থাকলে পাত্তা দেননি।“
“এবার বাংলায় পরিবর্তনের সরকার গড়বে বিজেপি-ই। ২০০-র বেশি আসন জিতবে বিজেপি।” এমনটাই দাবী করেছে গেরুয়া শিবির। অন্যদিকে তৃণমূলও কটাক্ষ করেছে, ‘দিবাস্বপ্ন’ দেখছে বিজেপি। ২৫০-র বেশি আসন পাবে তৃণমূল। বাংলায় তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসবেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। সবমিলিয়ে লড়াই চলছে দুই পক্ষই থেকেই।
এদিকে মমতা বন্দোপাধ্যায়ও খোদ জানিয়েছেন, “তৃণমূল ৯০ শতাংশ ভোট পাবে। নন্দীগ্রামে জিতছি আমি-ই।” শুধু তাই নয়, প্রথম দফার ভোট গ্রহণের পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দাবি করেছেন যে, “৩০-এ ২৬ পাবে বিজেপি।” যার পাল্টা জবাবে তৃণমূল নেত্রী দাবি করেছেন, “মানুষে আস্থা আছে। মানুষ ভোট দিয়েছে। মানুষই জবাব দেবে।”