ওয়েব ডেস্ক: কেউ সম্পন্ন গৃহবধূ কেউ আবার কলেজ পড়ুয়া অথবা কলেজ ত্যাগী। তাতে কি এসে যায়? সবার জন্যই ছিল অভিনয়ে নানা ভূমিকায় পারফর্ম করার সুযোগ! তারপর ঘরের বাইরে টেনে নিয়ে ধিরে ধিরে জড়িয়ে ফেলা গোপন দেহ ব্যবসায়! সম্প্রতি গড়িয়ার এক স্পা পার্লারে মধুচক্রের হদিশ পেয়ে হানা দিয়েছিল পুলিশ। গ্রেফতারও করা হয়েছিল তাদের। ওই ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল টেলিভিশনের এক জনপ্রিয় অভিনেতার। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার খাস কলকাতার বুকে ফের মধুচক্রের হদিশ পেল পুলিশ।
রবিবার গোপন অভিযান চালিয়ে মধুচক্র চালানোর অভিযোগে নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার গড়িয়া স্টেশন চত্বর থেকে মূল পান্ডাকে গ্রেফতার করল নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। জানা গেছে কয়েকমাস আগে গড়িয়া স্টেশন লাগোয়া এলাকায় একটি বাড়ি ভাড়া নিয়েছিল অভিযুক্ত সুজিত সরকার। বেশ কিছুদিন যাবৎ আচমকা নানা বয়সী পুরুষ মহিলাদের বাড়িতে ঢোকার খবর গোপন সূত্রে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশের কানে আসে৷ এরপর বেশকিছুদিন ওই বাড়িতে নজর রাখার পর মধুচক্রের আসর বসার খবর পান পুলিশ।
তক্কে তক্কে ছিল পুলিশ। শুরু হয় ফাঁদ পাতা। রবিবার ক্রেতা সেজে বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। এদিন অভিযুক্ত সুজিত সরকারকে গ্রেফতার করার পাশাপাশি ওই বাড়িতে থাকা ৮ জন মহিলাকে উদ্ধার করা হয়েছে। ধৃতকে এদিনই বারুইপুর আদালতে তোলা হয়েছে। জানা গিয়েছে, টলিউডের বিভিন্ন সিনেমা-সিরিয়ালে অভিনয়ে সুযোগ দেওয়ার টোপ দিয়ে মহিলাদের এই বাড়িতে আনতো অভিযুক্ত সুজিত সরকার। এরপর তাদের বারুইপুরে পাঠিয়ে দেহব্যবসায় নামানোর ছক করা হয়েছিল। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা গিয়েছে, গোটা বিষয়টি ৬০ হাজার টাকায় রফা হয়েছিল। ইতিমধ্যেই ধৃত যুবককে জেরা করে এই মধুচক্রের শিকড় আরও কতদূর বিস্তৃত তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্তে নেমেছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ।
সূত্র মারফৎ জানা গেছে প্রথমে অভিনয়ের ছলেই বিভিন্ন ভঙ্গিমার পোশাক, তারপর ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের অভিনয়, শরীরে হাত রাখা। এরপর টাকার টোপ এই ভাবে ধিরে ধিরে জড়িয়ে ফেলা দেহ ব্যবসায়। কেউ সখে, কেউ আবার অভাবে আসেন যদি অভিনয় করে কিছু উপার্জন করা যায়। এভাবেই নানা জায়গায় চলে অপরাধের রমরমা ব্যবসা। করোনা কালে মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। সেই অবস্থারও সুযোগ নিচ্ছে অনেকে।