নিউজ ডেস্ক: এক তরুণ হোটেল মালিকের দেহ উদ্ধার হয়েছে সেই হোটেল থেকেই যাঁর দুহাতেরই শিরা কাটা অথচ তিনি ফাঁসিতে ঝুলছেন! অস্বাভাবিক মৃত্যুর এই অস্বাভাবিক প্রকার অবাক করেছে উত্তর দিনাজপুরের এই ছোট্ট শহরটির বাসিন্দাদের। শুরু হয়েছে হত্যা বনাম আত্মহত্যার জল্পনা। রায়গঞ্জ শহরেরই একটি হোটেল থেকে উদ্ধার হয়েছে দেহটি যে হোটেলের মালিকানার অংশীদারিত্ব রয়েছে তাঁরও!
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে মৃতের নাম অভিজিৎ সাহা।বয়স আনুমানিক ২৫ বছর। তিনি কী মানসিক অবসাদ থেকে আত্মহত্যা করেছেন নাকি পরিকল্পিত ভাবে খুন করা হয়েছে তাঁকে সেই নিয়ে চলছে চুলচেরা তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কারণ অভিজিৎ-এর দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হলেও,তার দুহাতের শিরা কাটা ছিল। হাতের শিরা কেটে কেউ কি ফাঁসিতে ঝুলতে পারে কিংবা এক হাতের শিরা কাটার পর কোনও ব্যক্তি কী আরেকটি হাতের শিরা কাটতে পারে? উঠে গিয়েছে এমনই এক গুচ্ছ প্রশ্ন।
সোমবার সকালে রায়গঞ্জ শহরের শিলিগুড়ি মোড়ের সুদর্শনপুর এলাকার ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক লাগোয়া একটি হোটেল থেকে ঝুলন্ত দেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। মৃতের দুই হাতের শিরা কাটা ছিল। দেহের পাশ থেকে ধারালো চাকু, ব্লেড, উদ্ধার করেছে পুলিশ। অর্থাৎ ঘটনাটি ঘটেছে আগের দিন রাতেই। পুলিশ মৃতের মোবাইল সহ অন্যান্য সামগ্রী থেকে রহস্য উদ্ধারের চেষ্টা করছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের বাড়ি রায়গঞ্জ শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সুদর্শনপুর এলাকায়। এদিন বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দেয় পুলিশ। রায়গঞ্জ থানায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পাশাপাশি, মৃতের পরিবারের তরফে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অংশীদারি ব্যবসার ঝামেলার জেরেই সম্ভবত খুন হয়ে থাকতে পারেন ওই ব্যবসায়ী এমনও মনে করছেন অনেকে।
ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে খুন করে গলায় দড়ির ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। রায়গঞ্জ পুলিশ সুপার সুমিত কুমার জানান, মৃতের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর আসল কারণ জানা সম্ভব নয়। হোটেলের কর্মচারী, অন্য অংশীদার প্রভৃতিদের সঙ্গে কথা বলছে পুলিশ।