পুলিশে তুলে দেওয়ার আগে এই ঘরেই রাখা হয় প্রধান শিক্ষক ও ছাত্রীকে |
নিজস্ব সংবাদদাতা: সবং তৃণমূলের পরিচিত রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের শিকার হয়েছেন বসন্তপুর ঝাড়েশ্বর বানী ভবন উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক শুধুই প্রধান শিক্ষকের দোষ নয় পাশাপাশি আশুতোষ মণ্ডল। এমন দাবি উঠে এসেছে খোদ শাসকদলের অন্দরমহল থেকেই। সেই মহলের দাবি শিক্ষকের ব্যক্তিগত স্খলন বিচার্য হোক কিন্তু পাশাপাশি এটাও মনে রাখতে হবে যে দলেরই একটা অংশ শিক্ষকের সেই দুর্বলতাকে ব্যবহার করেই নিজেদের রাজনৈতিক প্রতিহিংসাকে চরিতার্থ করেছে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
ওই স্কুলের পরিচালন সমিতির বিদায়ী সভাপতি সবংয়ের পরিচিত তৃনমূল নেতা সনাতন দিত্ত বলেন, ‘মাত্র কয়েকমাস হল দায়িত্ব নিয়েছেন ওই শিক্ষক। আর তারপরেই স্কুলের উন্নয়নের জন্য বেশ কিছু কাজ করেছেন এবং আরও করছিলেন। এটাই অনেকের সহ্য হচ্ছিলনা। প্রধান শিক্ষককে যে মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে তা সত্যি হলে নিন্দনীয় কিন্তু পাশাপাশি এটাও সত্য যে ফাঁসানো হয়েছে ওনাকে।”
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
তৃণমূলের এই অংশের দাবি স্কুলের উন্নয়নের কাজ শুরু হতেই টাকার গন্ধ পায় সবংয়ের ‘কাটমানি’ খাওয়া তৃনমূল নেতারা। তারা চাইছিল স্কুল পরিচালন সমিতির নিয়ন্ত্রন নিতে কিন্তু প্রধান শিক্ষক তা হতে দেননি। এই রাগ থেকেই তাঁকে ফাঁসানো হয়।একটি সুত্র থেকে জানা গেছে ওই স্কুলের নতুন পরিচালন সমিতির প্রস্তাবিত সভাপতি করা হয়েছিল সবং তৃণমূলের আরেক নেতা বিনোদ আগরওয়ালকে। বিনোদ সবংয়ের প্রাক্তন বিধায়ক তথা রাজ্যসভার সদস্য মানস ভূঁইয়ার ঘনিষ্ট। কিন্তু এই প্রস্তাব মেনে নিতে রাজি হননি ফলে সভাপতি হওয়া হয়নি তাঁর।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
বিনোদ আগরওয়াল অবশ্য বলেছেন, আদালতের রায়েই নতুন কমিটি কাজ করতে পারছেনা ঠিকই কিন্তু তার সঙ্গে এই ঘটনার কি সম্পর্ক? উনি যা করেছেন তা শিক্ষক সমাজের কলঙ্ক।
সবং তৃণমূলের অন্য শীর্ষ নেতা এবং মানস ভূঁইয়া বিরোধী গোষ্টির নেতা অমূল্য মাইতি বলেছেন, ”প্রধান শিক্ষককে পুরোপুরি ফাঁসানো হয়েছে এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই এমন এই প্রক্রিয়া বেশ কিছুদিন ধরেই চলছিল। তিনি ওই ছাত্রীর সঙ্গে যদি কিছু করে থাকেন সেটা অবশ্যই নিন্দনীয় কিন্তু যেভাবে তাঁকে ফাঁসানোর হয়েছে সেটাও নিন্দনীয়। এই ঘটনার পেছনে অন্য উদ্দেশ্য কাজ করেছে।”
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
মানস বিরোধী গোষ্টির আরও দাবি, ”যাঁরা আজ ওই ছাত্রীর ভবিষৎ নিয়ে এত উদ্বিগ্ন তাঁরা সেদিন কোথায় ছিলেন যেদিন সবং সজনীকান্ত মহাবিদ্যালয়ের সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠান শেষে রাতের বেলায় মত্ত ছাত্রনেতাদের হাত থেকে দুই ছাত্রীকে প্রায় বিবস্ত্র অবস্থায় উদ্ধার করে গাড়িতে করে তাদের বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে আসতে হয়েছিল?”উল্লেখ্য মাত্র এক সপ্তাহ আগে ওই দুদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
এদিকে আরও একটি বিষয় সবং ও বেলদায় আলোড়ন তৈরি করেছে তা হল ওই প্রধান শিক্ষক ও ছাত্রীকে যে রাতে আটক করে কিছু যুবক একটি ঘরে আটক করে কথাবার্তা চালাচ্ছিল সেই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়া হয়েছে। যেখানে ছাত্রীটির মুখ স্পষ্ট ভাবে দেখা যাচ্ছে যা চুড়ান্ত বে-আইনী। এমনকি ওই ভিডিওতে এও দেখা যাচ্ছে যে, প্রধান শিক্ষককে মারধর করছেন যুবকরা। সব মিলিয়ে সবংয়ের ঘটনায় তোলপাড় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা।