ওয়েব ডেস্ক: আমেরিকার শ্বেতাঙ্গ-কৃষ্ণাঙ্গ বর্ণ বিদ্বেষের আঁচ ইতিমধ্যেই পড়েছে গোটা বিশ্বে। এর জেরে এবার চরম সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে দেশী-বিদেশী বিভিন্ন ফেয়ারনেস ক্রিম প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি৷ বহু বছর ধরে এদেশে ব্যবসা করছেন ‘ফেয়ার অ্যান্ড লাভলি’ ফেয়ারনেস ক্রিম প্রস্তুতকারী সংস্থা। কিন্তু কিছুদিন আগে তাদের ব্র্যান্ডের নামের আগে ‘ফেয়ার’ শব্দটির মধ্যে বর্ণবিদ্বেষী মনোভাব খুঁজে পেয়েছেন নেটিজেনরা। এর জেরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। এর জেরে এবার কনসিউমার জায়েন্ট ইউনিলিভারের ভারতীয় শাখা হিন্দুস্তান ইউনিলিভারের তরফে বৃহস্পতিবার ঘোষণা করা হয় ‘ফেয়ার অ্যান্ড লাভলি’-র নাম থেকে বাদ দেওয়া হবে ‘ ফেয়ার’ শব্দটি। তারপর নতুন করে ফের ব্র্যান্ডিং করা হবে। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে দিনকয়েক আগেই জনসন অ্যান্ড জনসন নামক এক নামী প্রসাধনী সংস্থা তাঁদের স্ক্রিন হোয়াইটনিং ক্রিম বা রঙ ফর্সা হওয়ার ক্রিম বিক্রি বন্ধের কথা ঘোষণা করেছেন।
হিন্দুস্তান ইউনিলিভারের তরফে ইতিমধ্যেই একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “কোম্পানির স্কিনকেয়ার পোর্টফোলিও বা ত্বকের যত্নে ব্যবহৃত প্রসাধন পণ্য সব রঙের স্কিন টোনের জন্য এবং সৌন্দর্যের প্রতিটি বৈচিত্রই অনন্য। এরই ধারাবাহিকতায় কোম্পানির ফ্ল্যাগশিপ ব্র্যান্ড ‘ফেয়ার অ্যান্ড লাভলি’র নাম পরিবর্তন করা হচ্ছে।” এবিষয়ে হিন্দুস্তান ইউনিলিভার লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্জীব মেহতা জানিয়েছেন, “সোশ্যাল মিডিয়ায় ফেয়ার অ্যান্ড লাভলির বিরুদ্ধে জনগনের গর্জে উঠবার ভিত্তিতেই এই সিদ্ধান্ত। তবে এটি সহজ প্রতিক্রিয়া নয়, ফেয়ার অ্যান্ড লাভলির নতুন নাম অনুমোদনের জন্য গিয়েছে। সেই প্রক্রিয়া শেষ হলেই নতুন নামে ও নতুন রূপে সামনে আসবে ফেয়ার অ্যান্ড লাভলি।”
তবে এবার থেকে ত্বকের বিভিন্ন প্রসাধনীর বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে ‘স্ক্রিন হোয়াটইনিং’, ‘ফেয়ারনেস’ জাতীয় শব্দগুলি বাদ পড়তে চলেছে,পরিবর্তে ‘স্ক্রিন ডিটক্স’, ‘স্ক্রিন রেজুভেনেশন’-এর মতো বিষয়গুলি ব্যবহার করা হতে পারে। তবে জানা গিয়েছে, ফেয়ার অ্যান্ড লাভলির নাম পাল্টে নতুন নামে প্রসাধনীটি বাজারে আনতে ‘কেয়ার অ্যান্ড লাভলি’, ‘ফ্রেস অ্যান্ড লাভলি’ এবং ‘ডেয়ার অ্যান্ড লাভলি’-এই তিনটি নাম নেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে থেকে একটিকে বেছে নিয়ে নতুনরূপে প্রোডাক্টটি বাজারে আনার দিকেই নজর দিচ্ছে হিন্দুস্তান ইউনিলিভার লিমিটেড।