Homeএখন খবরপ্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে রেল স্টেশনে হামলা চালাতে পারে বি.জে.এম জঙ্গিরা! নিরাপত্তায় মুড়ে...

প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে রেল স্টেশনে হামলা চালাতে পারে বি.জে.এম জঙ্গিরা! নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হল পাঁচ স্টেশন

নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রেল স্টেশন গুলিতে হামলা চালাতে পারে বাংলাদেশ জামাতুল মুজাহিদিন (বি.জে.এম)এমনই আশঙ্কা করে প্রজাতন্ত্র দিবসের আগেই বাংলায় জারি হাই অ্যালার্ট। জঙ্গিপুর, নিউ ফরাক্কা, মালদা, সাহেবগঞ্জ, জামালপুর এই পাঁচটি স্টেশনে জারি করা হল উচ্চ সতর্কতা। বাদ যায়নি জিয়াগঞ্জ, আজিমগঞ্জ স্টেশনও। সেখানেও রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। গত কয়েকমাস ধরেই সীমান্তবর্তী জেলা গুলি থেকে পাকড়াও হয়েছে বাংলাদেশের এই জঙ্গি সংগঠনের এপারের কয়েকজন মাথা এবং সদস্য। আর তাতেই বোঝা গিয়েছে এ পাশে যথেষ্টই জাল বিছিয়েছে জামাতুল মুজাহিদিন আর সেই কারণেই কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি নয় রেল এবং রাজ্য পুলিশ।রেল স্টেশনে বি.জে.এমের হামলার ছক থাকতে পারে ধরে নিয়ে সীমান্ত স্টেশন গুলিতে এই সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

রবিবার সকাল থেকেই শুরু হয়ে গেছে স্টেশন গুলিতে নিরাপত্তা বাহিনীর কড়া নজরদারি। এদিন দফায় দফায় স্টেশন চত্বরে চেকিং চালানো হয়। স্টেশনে আগত যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। রিজার্ভেশন ছাড়া কাউকেই রবিবার থেকে আর স্টেশনে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। স্টেশন খালি করে সকাল থেকে তল্লাশি শুরু হয়েছে। জিআরপি ও আরপিএফের পক্ষ থেকে যৌথ চেকিং চলছে। এমনকি রেললাইনে নেমেও চেকিং চালান জিআরপি এবং আরপিএফের জওয়ানরা। ব্যবহার করা হচ্ছে মেটাল ডিটেক্টর, স্নাইফার ডগ ইত্যাদি।

প্ল্যাটফর্মে নামা ও দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীদের ব্যাগ চেক করছে পুলিশ। গোয়েন্দা সূত্রে জানানো হয়, ২৬ জানুয়ারির আগেই বড় সন্ত্রাসবাদী হামলা চালাতে পারে বাংলাদেশের সংগঠন জামাতুল মুজাহিদ্দিন। আর এই হামলার লক্ষ্য মালদহ ডিভিশনের পাঁচটি স্টেশন। খবর পাওয়া মাত্রই তা রেল নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদেরও জানিয়ে দেওয়া হয়।

এখন ট্রেন চলাচলের পর ট্র্যাকও চেক করা হয়। নিউ ফরাক্কা স্টেশনে দেখা যায় ভোর থেকেই ক্রাইম ব্রাঞ্চের একটি দল পৌঁছে গিয়েছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা–সহ সব কিছু খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে। স্টেশনের ঢোকার মুখে কড়া নাকা চেকিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রজাতন্ত্র দিবসে কোনওরকম ঝুঁকি নিতে চাইছে না রেল। তাই সবরকম ভাবে কড়া নজরদারী চালানো হচ্ছে সর্বত্র।

গোয়েন্দা  সূত্রে খবর, খাগড়াগড় কান্ডের পর একের পর এক জঙ্গি ধরা পড়েছে পুলিশ এবং জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা (NIA)র জালে। মাত্র কয়েকমাস আগেই গতবছরের নভেম্বর মাসে বীরভূম থেকে গ্রেপ্তার হয়েছে বি.জে.এম জঙ্গি নাজিবুল্লাহ। তার কয়েকমাস আগেই জুলাইয়ে মুর্শিদাবাদের সূতি থেকে গ্রেপ্তার হয় আবদুল করিম নামে আরেক জঙ্গি। ফলে বোঝাই যাচ্ছে এখনও গোপনে সক্রিয় রয়েছে জঙ্গিরা। আর ধারাবাহিক ভাবে একের পর এক সদস্য ধরা পড়ায় মরিয়া এই সংগঠন বড়সড় নাশকতা ঘটাতে। প্রতীকি ছবি

RELATED ARTICLES

Most Popular